বাংলাদেশে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি, পাবনা ও বগুড়ায় ২জন নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
শক্তিশালী ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল নেপালের কাঠমান্ডুর কাছে হলেও সারা উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ পর্যন্ত হাজার হাজার বর্গমাইল বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এর কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্নস্থানেও এ ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক বাড়িঘর ও বহুতল ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পাবনা ও বগুড়া জেলায় দুজনের মৃত্যু ঘটেছে।
পাবনার গোপালপুর এলাকায় ভূমিকম্পে আতংকিত এক নারী ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যাবার সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। তার নাম রোকেয়া খানম, বয়স ৬৫।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় একটি মাটির বাড়ির দেয়াল ধসে পড়লে তাতে চাপা পড়ে মোরশেদা বিবি (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমগুলোতে আরো কিছু মৃত্যু খবর প্রচার হলেও এখনো কর্তৃপক্ষের দিক থেকে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।
ভূমিকম্পে আতংকিত লোকজন বিভিন্ন ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন।
ময়মনসিংহের ৬০ কিলোমিটার দূরে ধোবাউড়ায় একটি স্কুলের ছাদে ফাটল দেখা দিলে আতংকিত ছাত্র-শিক্ষকরা নিচে লাফিয়ে পড়েন।
এতে অনেকে আহত হন, যার মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া সাভার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেও লোকজন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা ও তার আশপাশে বিভিন্ন অফিস ও বহুতল গার্মেন্টস কারখানাগুলোয় ভূমিকম্পের কারণে পোশাককর্মীদের মধ্যে তীব্র আতংক ও হুড়োহুড়ি সৃষ্টি হয়।
এসময় সাভারে কর্ণপাড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় একজন মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা সহিংস হয়ে ওঠে। এর পর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অনেকে আহত হয়।
এখানে আহত মোট ৫৫ জন লোক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছেন।
ঢাকার বনানী, যাত্রাবাড়ী এবং পুরোনো শহরের বংশাল ও ইসলামপুর এলাকায় বেশ কিছু ভবন ভেঙে বা হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বংশালে একটি ছ’তলা ভবন ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পের পর মিরপুর এলাকায় অনেক গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়।