কাজে যোগ দিচ্ছেন শাবি’র প্রশাসনিক পদে কর্মরত ৩৫ শিক্ষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৫, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে কর্মরত ৩৫ শিক্ষক কাজে যোগ দিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসের সাথে বৈঠক শেষে তারা কাজে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে গত সোমবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. এমদাদুল হক জানান, সকালে ভারপ্রাপ্ত ভিসি আন্দোলনরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত ভিসি তাদেরকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আহ্বান জানালে তারা এতে সম্মত হন। তারা কাজে যোগ দিতে রাজি হলেও ভিসি ড. আমিনুল হক ক্যাম্পাসে ফিরলে তারা আবার আন্দোলনে নামবেন বলে ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে জানান। তারা ভিসির পদত্যাগ দাবির বিষয়টিও অবহিত করেন ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ছাড়াও শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সৈয়দ সামছুল আলম, কো কনভেনর অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী এবং শাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক উদ্দিনসহ ফোরামের কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুই মাসের ছুটি নিয়ে ভিসি ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকায় গেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল সকালে ভিসির সঙ্গে একাডেমিক ভবনের স্পেস সম্পর্কিত জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে কথা বলতে যান পদার্থবিজ্ঞান ও জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট (জিইই) বিভাগের ১৯ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে প্রফেসর ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হকও উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন ভিসির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক এবং জিইই বিভাগের প্রফেসর ড. শরীফ মোহাম্মদ শারাফউদ্দিন বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরাম গত বুধবার বৈঠক করে। এ ভিসির সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় । গত বুধবার রাত ৯টায় শেষ হওয়া ওই বৈঠক থেকে আগামীকাল রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে ভিসিকে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু ভিসি পদত্যাগ না করায় সোমবার প্রশাসনিক ৩৭ পদ থেকে ৩৫ জন পদত্যাগ করেন। গত মঙ্গলবার রাতে এক বৈঠকে তারা ভিসিকে অপসারণ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান। এরপর গত বৃহস্পতিবার শাবি সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠকে ভিসি ২৪ এপ্রিল থেকে দুই মাসের ছুটিতে যান।