মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকসমাগম
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনগরে দু গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ: পুলিশ, ইউপি সদস্যসহ আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ এপ্রিল ২০১৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকসমাগম করে গ্রামবাসী। সংঘর্ষে পুলিশ, ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১০ আহত হয়েছে।
রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজনগর থানার এসআই ধ্রুবেশ চক্রবর্তীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত একজনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায়।
জানা যায়, উপজেলার টেংরা বাজারে শনিবার দিবাগত রাতে কর্তল গ্রামের ইমন (১৮) এর মোটরসাইল ইলাশপুর গ্রামের জনি (১৩) কে ধাক্কা দেয়। এসময় কথাকাটাটির এক পর্যায়ে জনিকে মারধর করা হয়। এসময় স্থানীরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে উভয়কে ফিরিয়ে দেন।
ইলাশপুর গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আজ রবিবার সকালে এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন টেংরাবাজারের দিকে আসতে থাকে। খবর পেয়ে কর্তল গ্রামের লোকজনও বাজারে অবস্থান নেয়। উভয় পক্ষ বাজারের দু-পাশে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুদ্দোহা পিপিএম অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আছকির খান, ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খানসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন।
উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন- রাজনগর থানার এসআই ধ্রুবেশ চক্রবর্তী, আব্দুস সুবহান (৬০), মাসুক মিয়া (৪০), ইউপি সদস্য শিবব্রত চক্রবতী (৪৫), ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ (৫০), অপু মালাকার (১৬), নিধু মালাকার (১৭)।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুদ্দোহা পিপিএম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এব্যাপারে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।