আগামীকাল জুড়ী উপজেলা উপনির্বাচন
৬ প্রার্থীই প্রচারণায় সরব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মার্চ ২০১৫, ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক ::
আর মাত্র এক দিন পর উপনির্বাচন। সরগরম জুড়ী। জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগ নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী আ’লীগ প্রার্থী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মন্ত্রী ও হুইপ এলাকায় অবস্থান করে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে কৌশলে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে পরস্পর বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। জুড়ী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন এখন দুই ভিআইপির প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ২৯ মার্চ রোববার। নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণাও শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬ জন প্রার্থীই সরব প্রচারণায়। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জনের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। তারা হলেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভোটে প্রার্থী বদরুল হোসেন (আনারস) ও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মুমীত আসুকের স্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সমর্থনপুষ্ট গুলশান আরা মিলি (ঘোড়া প্রতীক) এবং বিএনপির গিয়াস উদ্দিন (হেলিকপ্টার)।
আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থীর পক্ষে সরকারের একজন মন্ত্রী ও একজন হুইপ এর পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে দুই ভিআইপির প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। এখন সবার দৃষ্টি জুড়ীর দিকে। বিএনপির রয়েছেন একাধিক প্রার্থী থাকায় তাদের মধ্যে রয়েছে স্পষ্টত দলীয় কোন্দল। তবে আ’লীগের মতো ভিআইপি সমর্থন না থাকায় বিএনপির গিয়াস উদ্দিন রয়েছেন দলীয়ভাবে ভাল অবস্থানে এমন কথা জানালেন সাধারণ ভোটারদের অনেকে।
তৃণমূলভোটে মনোনীত জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বদরুল হোসেন মাষ্টার। তার পক্ষে কাজ করতে হুইপ শাহাব উদ্দিন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মুমীত আসুকের স্ত্রী ও গুলশান আরা মিলির পক্ষে জোর সমর্থন রয়েছে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর। মিলি প্রয়াত স্বামীর ইমেজ, মন্ত্রী বলয়ের প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেষ্টা করছেন এ কথা জানালেন অনেকে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মন্ত্রী ও হুইপ নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে স্বশরীরে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় এই উপনির্বাচনে ৮৯ হাজার ৪০১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৪৫০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানান সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।