বিধ্বস্ত জার্মান বিমানের দেড়শ’ যাত্রিই নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০১৫, ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
আল্পস পর্বতমালার উপর ভূপাতিত জার্মান বিমানটিতে থাকা দেড়শ’ জনের কেউই যে জীবিত নেই, সেটা নিশ্চিত করেছে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো প্রথম তদন্ত দলটি।
গতকাল মঙ্গলবার ১৪৪ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু নিয়ে ফ্লাইট ফোরইউ৯৫২৫ বার্সেলোনা থেকে ডাচেলডোর্ফের দিকে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিটের দিকে বিমানটি জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিল।এর কিছুক্ষণ পরই এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এসময় বিমানটি ৬ হাজার ফুট ওপরে ছিল। পরে আট মিনিট ধরে নিচে নামতে নামতে শেষ পর্যন্ত বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে ৬৭ জন জার্মান যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওদিকে, স্পেনের উপপ্রধানমন্ত্রী বিমানটিতে ৪৫ জন স্প্যানিশ নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছেন। বরফাচ্ছাদিত আলপাইন এলাকায় এটি বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে জার্মানির একটি স্কুলের ১৬ শিশু এবং দুই শিক্ষকও ছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে, কেউ বেঁচে নেই। দুর্গম ওই এলাকা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে কয়েকদিন লেগে যাবে।
প্যারিসে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছেন, “একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে নামতে পেরেছে এবং কেউ বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করেছে।”
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলের উপর দিয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরে এসে ঘটনাস্থলের বীভৎসতার বর্ণনা দিয়েছেন।
এয়ারবাস এ-৩২০ এর অবশিষ্টাংশের যে ভিডিও-চিত্র তোলা হয়েছে, তাতে বিমানটির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ একটি পাহাড়ি উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিমানের একটি ব্ল্যাকবক্স এরই মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমানটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের উপর ভূপাতিত হয়।
আজ আরও পরের দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ জার্মানি ও স্পেনের নেতাদের নিয়ে ঘটনাস্থল দেখতে যাবেন বলে কথা রয়েছে।
২০০০ সালের জুলাইয়ে প্যারিসের বাইরে কনকর্ড বিপর্যয়ের পর ফ্রান্সের মাটিতে এটিই প্রথম বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা।
ফ্রান্সের ডিজিএসি এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র বলেছেন, উত্তরের নিস শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বারসেলোয়েনেট শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আল্পস পর্বরতের দুর্গম স্থানে। দুর্ঘটনা তদন্তে ফরাসি ও জার্মান তদন্তকারীরা ঘটনান্থলে গেছেন। পর্বতের ৬ হাজার ৫শ’ ফুট ওপরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ সনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।