‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে তোমরা পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে আমরা সম্মেলন করে ফেলব’— জেলা আ’লীগের প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্যে করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০১৫, ১:৫২ অপরাহ্ণ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এমপি ভারতের কলকাতায় তিনটি পদক লাভ করায় তার সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আ’লীগের প্রতিপক্ষ বলয়ের জেলা আ’লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৮ বছরে একটি মিটিংও করতে পারনি তোমরা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তোমরা পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে আমরা সম্মেলন করে ফেলব। পদত্যাগ করো নতুবা পথেঘাটে কর্মীরা তোমাদের লাঞ্ছিত করবে। জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে পকেট ভারী করেছো। সে দিন শেষ হয়ে গেছে। আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থল শহীদ মিনার প্রাঙ্গন তোমাদের জন্য কাল হয়ে থাকলো। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভারতের কলকাতায় সম্প্রতি তিনটি পদক প্রাপ্তিকে এদেশের গণমানুষের অর্জন বলে মন্তব্য করে পদক তিনটি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে উৎসর্গ করেন।
হরতাল পালনকারীদের শাসিয়ে বলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর ও শ্রীমঙ্গলের ভৈরববাজার সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা চিহ্নিত, তাদের কেউ এলাকায় শান্তিতে থাকতে পারবে না। মৌলভীবাজার শান্তির জেলা জেলাবাসীকে শান্তিতে থাকার ও ৩০ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের গান সরকারি স্কুলে মাঠে শুনার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সম্প্রতি ভারতের কলকাতা কর্তৃক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নেহেরু সাম্য পদক ২০১৪, আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক ২০১৪ ও আসাম রাজ্যের সর্বোচ্চ পদক ঝাপি প্রাপ্তিতে জেলা আ’লীগ মন্ত্রী বলয়ের নেতা কর্মীরা আজ ২৪ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় সরকারি স্কুল মাঠের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মন্ত্রীর সম্মানে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
জেলা আ’লীগ সহসভাপতি মো. ফিরোজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মসুদ আহমদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠাটানে আরো বক্তব্য রাখেন রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আছকির খান, শ্রীমঙ্গলের রণধীর কুমার দেব, কুলাউড়ার আসম কামরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আনকার আহমদ, মহিলা আ’লীগ নেত্রী সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন প্রমুখ।
মন্ত্রীর সম্মানে লেখা সম্মানাপত্র পাঠ করেন সৈয়দ মনসুর আহমদ সুমেল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে নৌকা, ক্রেস্ট, ফুল দিয়ে সম্মান জানায় জেলা আ’লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।