ওসমানীনগরে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০১৫, ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেযস্ক ::
সিলেটের ওসমানীনগরে একই দিনে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত লাশ দুটো হচ্ছে উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের গিরিজা কান্ত দেবের পুত্র মন্টু দেব (৪২) ও উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত তইর উল্যার পুত্র কাছাই মিয়ার (৪৫)। গতকাল ২৩ মার্চ সোমবার সকালে থানার নিকটবর্তী নিজের চায়ের দোকান থেকে গলায় ছুরির আঘাত ও লুঙ্গি প্যাঁচানো অবস্থায় মন্টুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসমানীনগর থানা পুলিশ জানায়, রোববার রাতে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে রাজুকে নিয়ে নিজ দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন মন্টু। রাজু নামের ঐ যুবকই ঘুমন্ত অবস্থায় মন্টুকে খুন করে পালিয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণ গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে নারকেল গাছের নিচ থেকে কাছাই মিয়া নামে ওপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজন জানায়, সোমবার ভোরে সবার অজান্তে গাছ থেকে নারকেল পাড়তে গাছে উঠে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে সকাল ৯টায় থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মন্টু দেবের ব্যাপারে পরিবারের বরাত দিয়ে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরসালিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজু নামের এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব হয় মন্টু দেবের। এরপর থেকে মন্টুর দোকানে ঘুমাতো রাজু। রোববার রাতে বাড়ি থেকে খাবার এনে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে রাজুকে নিয়ে দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে পড়ে মন্টু। সকালে দোকানের ভেতর মন্টুর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় ছুরির আঘাত ও পরনের লুঙ্গি গলায় শক্ত করে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর থেকে রাজুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজু চারদিন ধরে মন্টুর সাথে থাকলেও তার পরিচয় জানা যায়নি।
অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রাম এলাকার ক্ছাই মিয়া রবিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সোমবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান বাড়ির সামনে নারকেল গাছের নিচে কাছাই মিয়ার লাশ পরে আছে।
পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওসি মুরসালিন আরও জানান, মন্টুকে খুনের পর ঘাতক রাজু দোকান থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকা ও ফ্ল্যাক্সিলোডের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে । হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনীকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
নিহত কাছাই মিয়ার ব্যাপারে ওসি জানান ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর হত্যার কোন আলামত পাওয়া গেলে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।