রাজধানীতে অভিনব সাইকেল বোমাসহ বিস্ফোরক উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মার্চ ২০১৫, ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
রাজধানীর কলতাবাজারের একটি বাসা থেকে ‘সাইকেলবোমা’ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব। উদ্ধার হওয়া ‘সাইকেলবোমা’র সঙ্গে ছিল ৫৮টি ককটেল, ৪৮টি পেট্রলবোমা, ৫০০ গ্রাম সালফার পাউডার, পাইপবোমা, পাথরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে র্যাব-২-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কলতাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা সবুজ রঙের সাইকেলটির ফাঁপা কাঠামো (ফ্রেম) বিস্ফোরকে ভরা। চালকের আসনের নিচ দিয়ে বের হয়ে আছে দুটি সলতের মাথা। একটু আগুন ছোঁয়ালেই ঘটে যাবে বিকট বিস্ফোরণ। সাইকেলটিকে একটি চলন্ত বোমায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। এতে ট্রিগারিং মেকানিজম ব্যবহার করে পুরো সাইকেলটিকেই একটি চলন্ত বোমায় পরিণত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে কাকরাইলের গভীর রাতে ঢাকার কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি নামে একটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে রাকিবুল ইসলাম মণ্ডল ওরফে রাকিব শশী (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে গতকাল ভোরে কলতাবাজারের ওই বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম ওরফে রানা (৩০) ও রিয়াজুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখান থেকেই সাইকেলবোমা, ককটেল, পেট্রলবোমাসহ অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তরুণেরা জানিয়েছেন, তাঁরা তিতুমির কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত এবং ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান ওরফে খোকনের অনুসারী। আনিসুর পলাতক রয়েছেন। তাঁর নির্দেশে গ্রেপ্তার তিনজন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে। রাজধানীতেও বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
র্যাব-২-এর পরিচালক মাসুদ রানা জানান, একটি ককটেলে সাধারণ ২০ থেকে ৩০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়। সাইকেলের ভেতরে এক থেকে দেড় কেজি বিস্ফোরক ছিল।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়উল আহসান জানান, যশোর সীমান্ত থেকে লিটন নামে এক ব্যক্তি ওই সাইকেলটি সরবরাহ করেন। এ ধরনের আরও কিছু অভিনব বোমা তাঁরা তৈরি করেছেন বলে র্যাব জানতে পেরেছে।