পূর্বদিক ডেস্ক ::

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আসা শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটকের পর  মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) জানায়, রোহিঙ্গাদের আটকের সময় স্থানীয় দালালদের গুলিতে তাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় দুশোর মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে কক্সবাজারে এসে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালি এলাকায় গতকাল ৬ মার্চ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়ি আটকানো হলে, সেখানে দালালদের সাথে বিজিবি’র সংঘর্ষ হয়।

মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা প্রায় কয়েকশ রোহিঙ্গা উখিয়ার চান্দের গাড়ি নামে পরিচিত স্থানীয় বাহনে করে আসছে – এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি’র একটি টহল দল বাহনগুলোকে থামিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, এই অভিযানের সময় স্থানীয় দালালদের আক্রমণে এবং গুলিতে বিজিবির একজন সুবেদার ফজলুল আহত হন।

আহত এই বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি এখন আশংকামুক্ত। ঘটনাস্থল থেকে একজন দালালকে আটক করা হয়েছে।

আটক ১০৮ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ১০৮ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও তাদের সাথে থাকা দু’শর বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে গেছে।

কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেছেন, অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গারা আটটি গাড়িতে ছিলেন। দু’টি গাড়ি তল্লাশি করে ১০৮জনকে আটকের পর স্থানীয় দালালরা বিজিবির ওপর আক্রমণ চালায়।

সে সময় আরও রোহিঙ্গাদের বহনকারী ছয়টি গাড়ি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এখন পালিয়ে যাওয়া এই রোহিঙ্গা এবং দালালদের গ্রেফতারের জন্য গোটা কক্সবাজারে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিজিবির তিনি জানান।

উখিয়ার বালুখালি এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে স্থানীয় দালালরা এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে এনেছিল বলে পুলিশ বলছে।

মিয়ানমার সীমান্তের কাছে এই বালুখালি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফজল কাদের ভুট্টো বলেছেন, অনেক মানুষ জড়ো হওয়ার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা কোন উপলক্ষ থাকলেই, সেটাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এসে কক্সবাজারে শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে বা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আর এর পিছনে থাকে স্থানীয় দালালচক্র।