মানি লন্ডারিং বিষয়ে এইচএসবিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক ::
বাংলাদেশি ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে অর্থ পাচারে সহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে এইচএসবিসির বাংলাদেশ অফিসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির বাংলাদেশ অপারেশনের প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাকে সব ধরনের তথ্য নিয়ে আজ সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এইচএসবিসির ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শক দল পাঠিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (এফআইইউ) কাজ করে। এই ইউনিটের উপপ্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা ঘটনাগুলো বেশ পুরনো। এর অনেক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন কার্যকর হওয়ার পর। তার পরও প্রতিটি ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে। এজন্য বৃহস্পতিবার এইচএসবিসি ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের আসতে বলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য গ্রহণীয় না হলে পরিদর্শক দল পাঠিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০৩টি দেশের ২ লাখ ৬ হাজার ব্যাংক হিসাবের তথ্য বিশ্লেষণ করে গত সোমবার দেশভিত্তিক একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্র্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক কনসোর্টিয়াম (আইসিআইজে)। সেখানে বলা হয়, কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১১ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচারে সহায়তা করেছে এইচএসবিসি। পাচারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৮।
বাংলাদেশি ১৬ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০২ কোটি টাকা পাচার করেছে। এর মধ্যে একটি হিসাবেই পাচার হয় ৪৪ লাখ ডলার বা ৩৪ কোটি টাকা।১৯৮৫ থেকে ২০০৭ সাল সময়ের মধ্যে এই পাচারের ঘটনা ঘটেছে। মূলত এইচএসবিসির সাবেক কর্মকর্তা হার্ভি ফ্যালসিয়ানি ২০০৮ সালে ফ্রান্স সরকারের কাছে প্রথম তথ্যগুলো ফাঁস করেছিল। তবে এসব তথ্য সঠিক নয় এমন কোনো দাবি করেনি এইচএসবিসি।
বাংলাদেশে এইচএসবিসির জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হলে এইচএসবিসির প্রাইভেট ব্যাংক সুইজারল্যান্ডের সিইও ফ্রাঙ্ক মোরারের একটি মন্তব্য ই-মেইলে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, কর ফাঁকি অথবা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ‘সুইস প্রাইভেট ব্যাংক’ ২০০৮ সালে তাদের কাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। নতুন ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা এসে যেসব হিসাবের মান সন্তোষজনক নয়, তা বন্ধ করে দিয়েছে।