কুলাউড়ায় নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ৭ কি.মি. গুঙ্গিজুড়ী খাল খনন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জানুয়ারি ২০১৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ
নুরুল ইসলাম ::
স্বেচ্ছা শ্রম ও এলাকার মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে কুলাউড়ার গুঙ্গিজুড়ী খাল ফিরে পেয়েছে হারানো পানির প্রবাহ। কোন সরকারি অনুদান ছাড়াই হাকালুকি হাওর পারের মানুষের কায়িক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৭ কি.মি. গুঙ্গিজুড়ী খালের খনন কাজ তারা সম্পন্ন করেছেন। বৃহস্পতিবার সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর মৃত গুঙ্গিজুড়ী খাল ফিরে পেয়েছে প্রাণের প্রবাহ। ফলে হাকালুকি হাওরের দক্ষিণ তীরের ২/৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। । এতে এলাকার কৃষিজীবি মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ভুকশিমইল, মহেষগৌরী, মদনগৌরী, গৌড়করণ, কুরবানপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বহে যাওয়া গুঙ্গিজুড়ী ৭ কি.মি. খাল কালের বিবর্তনে ভরাট হয়ে যায়। পানির প্রবাহ সচল না থাকায় ওই এলাকায় বোরো আবাদে পানির সঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। এলাকার ভূক্তভোগী মানুষ বোরো আবাদের প্রয়োজনে খালটি সংস্কারে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন সাড়া না পেয়ে নিজস্ব উদ্যোগে গুঙ্গিজুড়ী খাল খনন করে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে উপরে উল্লেখিত গ্রামগুলেঅসহ সেচ সুবিধা পাবে শশারকান্দি, কুরবানপুর, নবাবগঞ্জ, মীরশংকর, দৌলতপুর ও শাহাপুর গ্রামের সহস্রাধিক হাজার কৃষক। এছাড়া হাকালুকি হাওরের গৌড়কুড়ি বিলসহ আশপাশের এলাকার মানুষ আগামী বোরো মৌসুমে চাষের আওতায় আসবে বলে জানা গেছে।
ভুকশিমইল গ্রামের হাজী তারা মিয়া, আমিন উদ্দিন, ইলাছ মিয়া, মহেষগৌরী গ্রামের নামদার আলী, আজাদ মিয়া, গৌড়করণ গ্রামের মজমিল মিয়া, সাবেক মেম্বার আব্দুল হারিছ, শওকত মিয়া, কুরবানপুর গ্রামের চিনু মিয়া জানান, এই এলাকার মানুষের একমাত্র কৃষি ক্ষেত বোরো। হাওর তীরের মানুষ হলেও গুঙ্গিজুড়ী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সংকটের কারণে প্রতি বছর বোরো চাষ ব্যাহত হলে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এরপর ৫টি গ্রামের মানুষ নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে খালটি খনন করেন। জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা ৭ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করা হয় স্বেচ্ছাশ্রমে। এতে আর্থিক সহযোগিতা করেন প্রবাসে অবস্থান করা স্থানীয় লোকজন। মাটি কাটার মেশিন (এস্কেবেটর) দিয়ে খনন কাজ তদারকি জন্য প্রতিদিন ৫০/৬০ লোক স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন। ১৯ দিন কাজ করার পর গুঙ্গিজুড়ী খালে আজ ২২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পানির প্রবাহ পুনরায় শুরু হয়েছে।