শীতে শরীর-স্বাস্থ্যের ভেষজ সুরক্ষা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০১৫, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
হেলথ ডেস্ক ::
মৌরি, এলাচ, দারচিনি, এ ধরনের কিছু মশলা এশীয়দের কাছে খুবই পরিচিত, যা চীন এবং মিশরে ৫০০০ বছর আগে থেকে শীতকালের নানা অসুখে ব্যবহার হয়ে আসছে। যা আজকাল বিশ্বের অনেকের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কয়েকটি ব্যবহার রয়েছে আজকের হেলথ টিপসে।
ধনে
বাঙালি রান্নায় প্রতিদিনই ধনের ব্যবহার রয়েছে একথা ঠিক তবে এর কী উপকারিতা তা কি জানি সবাই? ধনে পেট, অন্ত্র এবং নার্ভকে ঠান্ডা বা শান্ত রাখে। তাছাড়া জটিল মাথাব্যথা অর্থাৎ মাইগ্রেন সারতেও ভূমিকা রাখে। এক চামচ শুকনো ধনে ফুটন্ত পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর তা ছেঁকে একটু মধু মিশিয়ে পান করুন, হালকা বোধ করবেন।
মৌরি
সামান্য মিষ্টি স্বাদের এই মৌরিকে আমরা খাওয়ার পর হজমের জন্য একটুখানি মুখে দেয়ার সুবাদে চিনি। জার্মানরা এই মৌরিই ব্যবহার করে বিভিন্ন কেক বা বিস্কুট তৈরি করার সময়। মৌরি পেট পরিষ্কার রাখতে এবং স্বাসনালীর ইনফেকশনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে। শীতকালে আধা চামচ মৌরি চা ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে দিনে কয়েকবার পান করলে পেট এবং শ্বাসনালীর সমস্যা দূরে থাকে।
আদা
আদার গুণের কথা আজ আর কে না জানে? আয়ুর্বেদি ওষুধের তালিকার আদার স্থান অনেক ওপরে। আদা, কাশি, পেটের সমস্যা এবং বমি-বমি-ভাব দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। বড় এক টুকরো আদা এক লিটার পানিতে ঘন্টাখানেক ফুটিয়ে ২৪ ঘন্টা পর ছেঁকে বোতলে ঢেলে রাখুন। তার পর কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প করে পান করুন, যা পেটের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করবে।
এলাচ
পোলাও, কোর্মা, বা মিষ্টি জাতীয় নানা খাবারে সুন্দর ঘ্রাণের জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জার্মনিতে বড়দিন উপলক্ষ্যে তৈরি নানা কেক বিস্কুটে এলাচ দেওয়া হয়। এলাচ পেটকে শান্ত রাখে, নিশ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত করে। এমনকি এই ক্ষুদ্র এলাচ দানা চিবোলে নাকি মানুষের মনও ভালো হয়ে যায়।
জায়ফল
জায়ফল অর্থাৎ শক্ত বাদামের মতো দেখতে এই মসলাটির জন্ম ইন্দোনেশিয়ায়। এর ভেতরের শক্ত দানা গুঁড়ো করে খেলে ইনফেকশন এবং বাত ও গেঁটে বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী। জায়ফল খাওয়ায় রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে, তবে পরিমাণে খুবই কম খেতে হয় অর্থাৎ মাত্র এক চিমটে।
লবঙ্গ
লবঙ্গ মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং খুশখুশে কাশি দূর করে। লবঙ্গের ঝাঁঝ শরীরে উদ্দীপক হিসেবেও কাজে করে।
জাফরান
সবচেয়ে দামী মশলাগুলোর মধ্যে মিষ্টি রং-এর জাফরান একটি। যা এশীয় খাবার অর্থাৎ পোলাও, বিরিয়ানি এবং বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারে দেওয়া হয়। তাছাড়া একগ্লাস গরম দুধে এক চিমটে জাফরান দিয়ে দু’মিনিট গরম করে পান করে নিন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য তাদের সাহায্য করবে। জাফরান হালকা হৃদরোগের সমস্যায়ও নাকি অনেক সময় উপকারে আসে।
দারচিনি
দারচিনি শুধু খাবারে সুন্দর মিষ্টি ঘ্রাণই ছড়ায় না। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
গোলমরিচ
গোলমরিচ হাড়ের ব্যথা, স্ট্রেস এবং নার্ভাসনেস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ভালোভাবে গরম করা একমুঠো গোলমরিচ একটি কাপড়ে নিয়ে তা ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।