ফেনীতে আজ চালু হচ্ছে তৃতীয় সীমান্ত বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আরও একটি বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণও উপস্থিত থাকবেন।এ ছাড়া উভয় দেশের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গও থাকবেন।
এর আগের হাট দুটি হচ্ছে কালাইচর (ভারত)-বালিয়ামারি (বাংলাদেশ) ও মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে বালাত (ভারত)-দুলুরা (বাংলাদেশ) হাট। আর চতুর্থ হাট বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবাড়িয়ার কসবা ও ভারতের ত্রিপুরার মধ্যে নির্মাণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বর্ডার হাট নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
তবে চালু হওয়া বর্ডার হাটের ব্যবসায়ীরা বলছেন এ ধরনের হাটে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই বেশি লাভবান হচ্ছে। কারণ তাদের আনা পণ্যগুলো হাটে বাংলাদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশি বিক্রি হয়।
বর্ডার হাটের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল দশটায় এবং তা চলে একটানা বেলা চারটা পর্যন্ত। তবে এ বাজারে যেতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়েরই এক ধরনের অনুমতি পত্র বা বিশেষ পাস এর দরকার হয়।
এরকম আরো কয়েকটি হাটের নির্মাণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তিন বছর আগে চালু হয় বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে তেমনি একটি বর্ডার হাট।
এই সীমান্তে হাটে কি ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য হয়?
এমন প্রশ্নের জবাবে সুনামগঞ্জের বর্ডার হাটের একজন নিয়মিত ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, “ আমরা প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন, তরকারি, লুঙ্গি, গামছা, শাডড়ি এসব বিক্রি হয়। আমি নিজে মেলামাইন সামগ্রী বিক্রি করি”।
তিনি জানান বর্ডার হাটের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল দশটায় এবং তা চলে একটানা বেলা চারটা পর্যন্ত। তবে এ বাজারে যেতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়েরই এক ধরনের অনুমতি পত্র বা বিশেষ পাস এর দরকার হয়।
“বাংলাদেশের দিক থেকে এ বাজারে ব্যবসা করবে এমন ২৫ জন ব্যবসায়ীকে আর ক্রেতা কার্ড দেয়া হয়েছে প্রায় ১৫শ জনকে। এটি ভারতের দিক থেকেও প্রায় একই ধরণের ”।
কত ধরনের পণ্য নেয়া যায়, কোন তালিকা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন তেমনিভাবে ব্যবসায়ীদের কোন তালিকা দেয়নি কর্তৃপক্ষ কিন্তু অনুমোদিত পণ্যগুলোর জন্য প্রত্যেকটা দোকানদার প্রায় দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকার পর্যন্ত মালামাল নিয়ে থাকেন ।
তবে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ আট হাজার টাকার দ্রব্য কিনতে পারে।
আব্দুল মালেক জানান মাছ, মুরগী, ডিম, মাংস এসব জাতীয় জিনিস বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই বাজারে ব্যবসায় লাভ কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ প্রতি হাজারে পঞ্চাশ টাকার মতো লাভ হয়। তাই এটা নির্ভর করে বাজারের উপর। এখন আশানুরূপ লাভ হচ্ছেনা কারণ দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হয়”।
সীমান্তে এ বাজারগুলো জমছে কেমন কিংবা মানুষের আগ্রহ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান সীমান্ত হাট জমজমাট হয় মোটামুটি । তবে ভারতের লোকজন বা ব্যবসায়ীদেরই লাভ বা ব্যবসা বেশি হয়। কারণ তাদের আনা পণ্যগুলোই বাংলাদেশের মানুষ বেশি ক্রয় করে।