থমথমে গাজীপুর, জনমনে আতঙ্ক প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ
খালেদার সভাস্থলে ১৪৪ ধারা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক ::
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ছাত্রলীগের সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাজীপুরে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা চলাকালে জেলার কোথাও বিএনপি ও ছাত্রলীগসহ সব রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গাজীপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে দলের সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের করা কটূক্তি নিয়ে গত কদিনের ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ওই ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ছাত্রলীগ ঘোষণা দিয়েছে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছে তার জন্য তিনি ক্ষমা না চাইলে এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ করতে দেবে না। সে ক্ষেত্রে তারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে কোথাও সমাবেশ করতে দিতে পারেন না। সে জন্য উভয় পক্ষই কোথাও কোনো সমাবেশ করতে পারবে না। তারা অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন দুই পক্ষই সমঝোতায় আসবে। যেহেতু তারা কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি এবং দুই পক্ষই একই স্থানে সভা করার চেষ্টা করছে। সেজন্য আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হোক তারা পুলিশ প্রশাসন সেটা হতে দিতে পারেন না। এ কারণে পুলিশ সবার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছে এখানে কোনো পক্ষকেই জনসভা করতে দেয়া ঠিক হবে না। এ পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার সিদ্ধান্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বরে ভাওয়াল কলেজ মাঠসহ গাজীপুর জেলার কোথাও কোনো পক্ষেরই সভা হবে না।
পুলিশি অভিযান, আটক ৯
এদিকে গাজীপুরে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতিসহ ৯ জনকে আটক করেছে।
টঙ্গী থানার ডিউটি অফিসার সাজেদা লতা জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান, একই অভিযোগে জয়দেবপুর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আগেই নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম জানান, গত রাতে তার বাসাসহ পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমজ্জামান ননী, জাসাস নেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। রাতে পুলিশ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পূবাইল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ শাখার সদস্য আলমগীর হোসেন, শিশির চৌধুরীসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশ মোতায়েন
জেলা শহর, বিএনপি কার্যালয়, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মিছিল-সভা
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কটূক্তির প্রতিবাদে এবং ভাওয়াল কলেজ মাঠে বেগম জিয়ার জনসভা প্রতিহত করার লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার চান্দনা-চৌরাস্তায় গিয়ে সভা করে। কৃষক লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মঞ্জুর হোসেন খান, আলতাফ হোসেন, আফজাল হোসেন রিপন সরকার প্রমুখ। দুপুর ১২টার দিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হীরা সরকারের নেতৃত্বে পৌনে ১টার দিকে গাজীপুর জেলা মহিলা লীগের সভাপতি দিলরুবা ফওজিয়ার নেতৃত্বে এবং দুপুর ১টার দিকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম দীপের নেতৃত্বে একই মহাসড়কে পৃথক পৃথক মিছিল করে।
তবে শুক্রবার কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল জানান, ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে তাদের জনসভার ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। তাদের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে একই স্থানে ছাত্রলীগ দিয়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ১৪৪ জারির পর তাদের জেলা নেতাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বৈঠক থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
এ ঘটনায় গাজীপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে দলের সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের করা কটূক্তি নিয়ে গত কদিনের ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ওই ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ছাত্রলীগ ঘোষণা দিয়েছে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছে তার জন্য তিনি ক্ষমা না চাইলে এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ করতে দেবে না। সে ক্ষেত্রে তারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে কোথাও সমাবেশ করতে দিতে পারেন না। সে জন্য উভয় পক্ষই কোথাও কোনো সমাবেশ করতে পারবে না। তারা অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন দুই পক্ষই সমঝোতায় আসবে। যেহেতু তারা কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি এবং দুই পক্ষই একই স্থানে সভা করার চেষ্টা করছে। সেজন্য আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হোক তারা পুলিশ প্রশাসন সেটা হতে দিতে পারেন না। এ কারণে পুলিশ সবার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছে এখানে কোনো পক্ষকেই জনসভা করতে দেয়া ঠিক হবে না। এ পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার সিদ্ধান্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বরে ভাওয়াল কলেজ মাঠসহ গাজীপুর জেলার কোথাও কোনো পক্ষেরই সভা হবে না।
পুলিশি অভিযান, আটক ৯
এদিকে গাজীপুরে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতিসহ ৯ জনকে আটক করেছে।
টঙ্গী থানার ডিউটি অফিসার সাজেদা লতা জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান, একই অভিযোগে জয়দেবপুর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আগেই নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম জানান, গত রাতে তার বাসাসহ পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমজ্জামান ননী, জাসাস নেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। রাতে পুলিশ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পূবাইল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ শাখার সদস্য আলমগীর হোসেন, শিশির চৌধুরীসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশ মোতায়েন
জেলা শহর, বিএনপি কার্যালয়, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মিছিল-সভা
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কটূক্তির প্রতিবাদে এবং ভাওয়াল কলেজ মাঠে বেগম জিয়ার জনসভা প্রতিহত করার লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার চান্দনা-চৌরাস্তায় গিয়ে সভা করে। কৃষক লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মঞ্জুর হোসেন খান, আলতাফ হোসেন, আফজাল হোসেন রিপন সরকার প্রমুখ। দুপুর ১২টার দিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হীরা সরকারের নেতৃত্বে পৌনে ১টার দিকে গাজীপুর জেলা মহিলা লীগের সভাপতি দিলরুবা ফওজিয়ার নেতৃত্বে এবং দুপুর ১টার দিকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম দীপের নেতৃত্বে একই মহাসড়কে পৃথক পৃথক মিছিল করে।
তবে শুক্রবার কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল জানান, ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে তাদের জনসভার ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। তাদের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে একই স্থানে ছাত্রলীগ দিয়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ১৪৪ জারির পর তাদের জেলা নেতাদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বৈঠক থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।