ভারতে আটক ৯ বাংলাদেশি নারী-শিশুকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪, ৮:১১ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক ::
ভারতীয় সীমাস্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও পুলিশের হাতে মা-বাবার সঙ্গে আটক ৯ বাংলাদেশি শিশুকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বিএসএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে আটককৃত ওই ৯ বাংলাদেশি নারী-শিশুকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময়
ভারতের মালদাহ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয়ের আইন কর্মকর্তা শুভাষিশ দত্তের উপস্থিতিতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে বিজিবি ও পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তা ইয়াসমিন আরা খুশির হাতে তুলে দেন।
জানা গেছে, হস্তান্তর প্রক্রিয়াকালে বিএসএফ কর্মকর্তা শ্রী রজনীস, বিজিবি ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা আজম আলী, শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন জেলায় ১৪ ফরের্নাস অ্যাক্ট এর অধীনে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন সংশোধন কেন্দ্রে, সেল্টার হোমে আটক ছিল এসব শিশু। পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গে শিশু বিষয়ক বিভিন্ন দপ্তর, সমাজকল্যাণ দপ্তর ও বাংলাদেশের মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আজ শনিবার দুপুরে সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা শিশুরা হলো : বগুড়া জেলার কনক মহন্তর মেয়ে সম্পা মহন্ত (১৯), নাটোর জেলার বেলগাঙ্গা এলাকার সুর রঞ্জন হলদারের মেয়ে সুমিত্রা হলদার(১৯), আবদুস সাত্তার মন্ডলের মেয়ে সাথি খাতুন (১৭), মাদারীপুর জেলার রিয়া (৬), কক্সবাজার-চকরিয়া এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে রাবিয়া বাসরি (১৩), জয়পুরহাট-রহমতপুর এলাকার আবদুল মতিনের মেয়ে রোজিনা খাতুল (১৬), নওগাঁর নাজমুল হকের ছেলে বাদল (৪), আফজাল সরদারের মেয়ে রুনা খাতুন ও আমিরুল ইসলামের মেয়ে আশা পারভিন (১৩)।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তা ইয়াসমিন আরা খুশি জানান, বাংলাদেশেও তাদের সেফ হোমে রাখা হবে।
এ বিষয়ে ভারতের মালদাহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের আইন কর্মকর্তা শুভাষিশ দত্ত জানান, ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ওই নয় শিশু ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফর হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু ভারতীয় আইন অনুযায়ী শিশু হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন সেফ হোমে রাখা হয়েছিল। তাদের মা-বাবারা এখনো ভারতের জেলে বন্দি রয়েছেন।