রাষ্ট্রপতির ভারত সফরে সম্পর্ক উষ্ণতার ইঙ্গিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০১৪, ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
ছয়দিনের সফরে বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এখন ভারতে। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা ছাড়েন। ঢাকা আশা করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির এই সফরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত চুক্তিসহ বাংলাদেশ-ভারতের বেশ কিছু ইস্যুর ব্যাপারে বরফ গলবে।
সর্বশেষ ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের তখনকার রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ভারত সফর করেন। এরপর দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে যাননি। প্রায় তিন দশক পর ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি গেলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বলা বাহুল্য, স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করাই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভারত সফরের মূল উদ্দেশ্য। ২৩শে ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তাঁর ভারত সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে আবদুল হামিদের বৈঠক হওয়ার কথা শুক্রবার রাতে। ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। নৈশভোজে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও তাঁর দেখা হওয়ার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানালেও, পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ভারতের আরও সহযোগিতা আশা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্তমানে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। শিগগিরই আরও ৫০০ মেগাওয়াট ভারতীয় বিদ্যুত্ বাংলাদেশের গ্রিডে যোগ হওয়ার কথা।
মো. আবদুল হামিদের এই ভারত সফর এমন এক সময় হচ্ছে যখন বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলগুলোতে বইছে আনন্দের সুবাতাস। সীমান্ত চুক্তি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং নীতি নির্ধারকদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এই চুক্তি এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে কাঠমান্ডুতে সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর এবং তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে ‘জোর’ প্রচেষ্টার কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসামে গিয়েও মোদী বলেন যে, এ চুক্তি কার্যকর হলে আখেরে ঐ রাজ্যেরই লাভ হবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সায় দিয়েছেন স্থল সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে, যার মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময় সম্ভব হবে। ভারতে বাংলাদশের ৯২টি এবং বাংলাদেশে ভারতের ১০৬টি ছিটমহল আছে।