রাজনগরের উত্তরভাগ চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ চা বাগানের শ্রমিকরা আজ ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করেছে। বাগানে একটি সন্ন্যাসী থান (শ্রমিকদের ভাষায় পূর্বের এক মন্দির) এর পাকা দেয়াল করতে বাগান কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়ায় দুদিন থেকে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দিপক কৈরি জানান, বাগানের অনেক পুরাতন এক মন্দির যেটাকে সন্ন্যাসী থান বলা হয়ে থাকে তা অরক্ষিত ছিল। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি এর মাটি ধুয়ে নিয়ে যায়। বাগানের যুবকরা গত ১৭ ডিসেম্বর বুধবার বাগানের রেশন বিতরণকালে শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫-৭ টাকা করে তুলে তার রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়। অবশ্য আগে বিষয়টি বাগান ব্যবস্থাপককে অবগত করা হয়। যুবকরা এই সন্ন্যাসী থানে পাকার পিলার দিয়ে একটি সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করে। গতকাল ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার মো. কবির হোসেন ও টিলাবাবু সোনা মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পাকার পিলারগুলো লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন। বিষয়টি বাগানের লোকজন দেখে এগিয়ে এলে তারা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এনিয়ে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা আজ শুক্রবার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে বাগান মণ্ডপে সমবেত হন। তারা সমষ্টিগতভাবে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের দাবি ধর্মকে আঘাতকারী স্টাফ বাগানে থাকতে পারবে না। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে বলে পঞ্চায়েত সভাপতি নিশ্চিত করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় উত্তরভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া ও বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. মাহতাব জমাদ্দার সকালে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে সুষ্টু ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা কিছুটা শান্ত হয়।
বাগান ব্যবস্থাপক মো. মাহতাব জমাদ্দারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উত্তরভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া টনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে বাগান শ্রমিকরা যে দু’জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে, তারা ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে তাকে নিশ্চিত করেছেন। তারা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। বিষয়টি সমাধান করার নিশ্চয়তা দিলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে বলে তাকে জানিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সমাধান হবে বলে তিনি জানান।