কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রতিপক্ষের ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ প্রতিপন্নের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪, ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ
নাজমুল ইসলাম ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গতকাল ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পাবলিক লাইব্রেরিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় দিবসে প্রশাসনের মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনায় ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ আহমদ লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে আমি কমান্ডার পদে নির্বাচন করি। ফলে বর্তমান কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে ও ডেপুটি কমান্ডার আতাউর রহমান আতা প্রতিপক্ষ প্যানেলের মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা সৌধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আতাউর রহমান আতা জনসম্মুখে রিয়াজ আহমদসহ অপর দুই মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ আহমদ জানান, রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তাছাড়া মুক্তিবার্তা লাল বই নং ০৫০৪০৪০০৩০৩, গেজেট নং ১৫৩৫ অনুসারে একজন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বক্তব্যদানকারী আতাউর রহমান আতা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বেচে নিজস্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি নিজেই ভারতীয় মুক্তি তালিকাভুক্ত নন। তার এ ধরনের বক্তব্য দৃষ্টতার শামিল।
মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ আহমদ ছাড়াও নিন্দা প্রকাশ ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে আব্দুর রাজ্জাক, মো. আলখাছ মিয়া, প্রফুল্ল বিশ্বাস, ফারুক মিয়া, হাবিবুর রহমান, তারা মিয়া, সৈয়দ মাহমুদ আলী, সিরাজ উদ্দিন আহমদ বাদশাহ, গৌরাঙ্গ দেব (গোপাল), আব্দুল মান্নান, অরবিন্দু আচার্য্য, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে জানান, ডেপুটি কামান্ডার আতাউর রহমান আতা কয়েকজনের নামোল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ বাদ দিতে পারবে না। যদি কারো মনে দুর্বলতা থাকে তবে তারা প্রতিবাদ করতেই পারে। আর দেশ স্বাধীনের আজ ৪৪ বছর পর কেন আজ মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রহসনের শামিল।