যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪, ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো দুদেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন ।
এই লক্ষ্যে শিগগিরই আলাপ আলোচনা শুরু কতে যাচ্ছে দুদেশ।
ওবামা কিউবা সম্পর্কে মার্কিন নীতি ঘোষণা করেন গত মঙ্গলবার যা গত ৫০ বছরের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো পরস্পরের সাথে কথা বলেন এবং সম্পর্ক জোরদারে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হন। এর মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত কড়াকড়ি শিথিল করাসহ বেশকিছু বিষয়।
হাভানায় দূতাবাস খোলারও ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই উদ্যোগ সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওবামা তার বক্তৃতায় বলেন, “আমরা এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাচ্ছি কারণ এখন এটাই সবচেয়ে যথার্থ পদক্ষেপ।
আমেরিকা এর মধ্য দিয়ে অতীতের সমস্ত শৃঙ্খল ছিড়ে ফেলতে চায়। আর দুদেশের জনগণের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই তা জরুরি। এমনকি পুরো পৃথিবীর জন্যই তা প্রয়োজন”।
অন্যদিকে কিউবার প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং পাঁচ দশক ধরে চলা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন।
কাস্ত্রো বলেন, আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয়েছি । কিন্তু এর মানে এই নয় যে প্রধান সমস্যাগুলো মিটে গেছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে কিউবার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হচ্ছে এবং মানবিক সংকট তৈরি হচ্ছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে”।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের অনুমোদন পেলেই তুলে নেয়া সম্ভব। রিপাবলিকানরা যথারীতি এর বিরোধিতা জানিয়েছে।
ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনের একজন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেব বুশ এই ঘোষণার পর একে বারাক ওবামার ‘ভুল পররাষ্ট্রনীতির প্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন ।
এদিকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসার কিছু আগেই পাঁচ বছর আগে কিউবায় আটক হওয়া মার্কিন একজন ঠিকাদার অ্যালান গ্রস দেশে ফিরে এসেছেন।
এছাড়া কুড়ি বছর ধরে কারা ভোগ করছিলেন আমেরিকার এমন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকেও মুক্তি দিয়েছে হাভানা।