সিলেটে ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের অজুহাতে চা গাছ কেটে ফেলায় চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪, ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের তারাপুর চা বাগানের ২শ’ চা গাছ কর্তন করায় বিক্ষোভ ও বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলো ঘেরাও করেছেন চা শ্রমিকরা।
গতকাল ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের ময়লা-আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের অজুহাত দেখিয়ে রাতের আধারে দুই শতাধিক চা গাছ কেটেছে রাগীব আলীর মালিকানাধীন সিলেটের তারাপুর বাগান কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকদের দাবি, বাগানের জায়গা কাউকে দান করার এখতিয়ার মালিকের নেই। চা গাছ কেটে তাদের অন্তরে কুড়াল মারা হয়েছে। তারা জীবন দিয়ে হলেও এই বাগান রক্ষা করবেন।
তবে বাগানের ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান বলছেন, বাগানের মালিক কর্তৃক জায়গা দান করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু করার নেই।
তারাপুর বাগানের চা শ্রমিক নেতা রিপন মোদী নায়েক জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছের সহযোগিতায় গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে তারাপুর বাগানের ২০২টি চা গাছ কর্তন করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
সকালে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে কাটা গাছ দেখতে পান। পরে তারা ওই স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাগান ব্যবস্থাপক আতাউর রহমানের বাংলো ঘেরাও করা হয়।
এ ব্যাপারে সিসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ জানান, সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য তারাপুর বাগানের মালিক রাগীব আলী কিছু জায়গা দান করেছেন। ওই জায়গায় ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য কিছু চা গাছ কাটা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাগান ব্যবস্থাপকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বেসরকারী নিউজ চ্যানেল যমুনা নিউজের সিলেট প্রতিনিধি প্রত্যুষ তালুকদার ও ক্যামেরাম্যান নিরানন্দ পাল।
তবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছেন বাগানের ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, বাগানের ম্যানেজার ও সাংবাদিকদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে শুনে পুলিশ সেখানে গেলে বাগানে চা গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পারেন।
বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।