কমলগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০১৪, ৫:২২ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। ১২ দিনের মাথায় দু’টি অটোরিক্সা (সিএনজি) ও প্রতি রাতে কোন না কোন স্থানে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটছে। এর সাথে যুক্ত রয়েছে ছিনতাই ঘটনা। পুলিশ তৎপর হলেও চুরি, ছিনাতাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নিঃস্ব হচ্ছেন নিরীহ সাধারণ জনগণ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শমশেরনগর বাজারের ভানুগাছ রোডে একটি ভাঙারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। আগের দিন ৮ নভেম্বর শমশেরনগর বাজারের চাতলাপুর সড়কে আবুল খায়ের গ্রুপের একটি সিগারেট গোদাম, একটি মুদি দোকান, হোটেল ও একটি ফ্লেক্সিলোড দোকান, লামাবাজারে ১টি মোদি দোকান সহ সবক’টি প্রতিষ্ঠানের নগদ টাকা সহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল, কমগলগঞ্জ গণমহা বিদ্যালয়ের সামনের নাজমুল হোসেনের ফ্লেক্সি দোকান থেকে ৪টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি, একই রাতে ভানুগাছ বাজারের মাহিমা ফার্মেসি ও পার্শ্ববর্তী মোদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সবকটি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শমশেরনগর ইউনিয়নের কেচুলোটি গ্রামের জোনাব আলীর বাড়ি থেকে (মৌলভীবাজার থ ১১-১৯৩৩) সিএনজি-অটোরিক্সা চুরি হয়। এ ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ৮ ডিসেম্বর রাতে পতনঊষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামের উকিল মিয়ার বাড়ি থেকে (মৌলভীবাজার ঠ-১১-৩১৯৪) সিএনজি অটোরিক্সা চুরি হয়। ওই রাতে পাশের বাড়ির রফিক মিয়ার একটি সিএনজি রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় চোর। দু’টি অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় জুনাব আলী ও উকিল মিয়া কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ১লা ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার বাজারে স্টুডেন্ট লাইব্রেরি এন্ড স্টেশনারি দোকানের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। এতে প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রাহেল গত ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। একই তারিখে সন্ধ্যায় শমশেরনগর বাজারের চৌমুহনা থেকে মোটরসাইকেল সহ দুই যুবক ছিনতাই হন। পুলিশি অভিযানে মোটর সাইকেল সহ ওই দুই যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসা থেকে সোহান (২৬) ও রাজু (২৪)কে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রাজা মিয়া বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক প্রভাষক আব্দুল আহাদ জানান, গত এক মাসে পতনঊষার ইউনিয়ন থেকে ৬টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এভাবে একের পর এক চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধিতে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, সবগুলো চুরি সঠিক নয়। কিছু কিছু ঘটনা আভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে নিজেদের মধ্যে ঘটছে। তবে পুলিশি জোর তৎপরতা রয়েছে। কমলগঞ্জ, শমশেরনগরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টাও চলছে।