সিআইএ’র জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০১৪, ৫:১২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা অভিযোগ করেছেন, ৯/১১ পরবর্তী সময়ে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে চরম নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যাবহার করেছে সিআইএ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯/১১ এর হামলার পর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের শাসনামলে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটি কর্মসূচি চালু করে সিআইএ, যেটিকে অভ্যন্তরীনভাবে ‘রেনডিশন, ডিটেনশন অ্যান্ড ইন্টারোগেশন’ বলে অভিহিত করা হতো।
এই কর্মসূচির আওতায় সন্দেহভাজনদের ঘুমাতে না দেয়া, পানিতে চুবানো, নির্দয় প্রহার করা এবং নানা রকম অবমাননাকর কাজ করানো হতো, যে পদ্ধতিকে ‘এনহ্যান্সড ইন্টারোগেশন টেকনিকস’ বা সংক্ষেপে ইআইটি বলা হতো।
এভাবে নির্যাতন করে সিআইএ যেসব তথ্য পেয়েছে তা পরবর্তীতে কোনও কাজে আসেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সিনেটের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তরের সময় ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রধান ডিয়ানে ফেইনস্টেইন বলেন, ‘সিআইএর যেসব কর্মকাণ্ড এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছে’।
সিআইএ’র পরিচালক জন ব্রেনান অবশ্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, এসব পন্থা ব্যবহার করে তারা অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার সময়কালে উল্লেখিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি আর ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
এসব পন্থা দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।