পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি, পিছালো মিনস্ক বৈঠক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০১৪, ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে ফ্রন্ট বরাবর ‘‘নিঃশব্দতার দিন” ঘোষণা করেছে কিয়েভ। গত মঙ্গলবার সে যুদ্ধবিরতি টিকছে। এ’দিন বেলারুসের মিনস্ক’এ যে আলাপ-আলোচনা হবার কথা ছিল, তা অন্তত শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়ে যাচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে একটি প্রকাশ্য ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, ‘‘দেড় ঘণ্টা আগে আমরা একটি নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করি। (সে’যাবৎ) একটিও গুলি চলেনি, একজন সৈন্যও নিহত হয়নি।” ইউক্রেন সামরিক বাহিনীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও এই যুদ্ধবিরতির উল্লেখ করা হয়েছে, কিয়েভ সরকার যা’কে ‘‘নিঃশব্দতার দিন” বলে ঘোষণা করেছেন।
এএফপি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টাররা জানিয়েছেন যে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার মুখ্য শহর দোনেৎস্ক’এ ভোর নাগাদ দু’পক্ষের গোলাবর্ষণ বন্ধ হয় – এবং সে’যাবৎ একটিও গোলার আওয়াজ শোনা যায়নি। এই ‘‘নিঃশব্দতার দিন”-এর পর দু’পক্ষের রণাঙ্গণ থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরানোর কথা – অবশ্য যদি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অস্ত্রসম্বরণ করতে রাজি থাকে। নয়তো সোমবার রাত্রেও তীব্র যুদ্ধ চলেছে: সরকারি সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীরা নাকি দোনেৎস্ক’এর বিধ্বস্ত শিল্পাঞ্চলের দু’পাশ থেকে পরস্পরের দিকে রুশ গ্রাড রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ওদিকে মিনস্ক আলাপ-আলোচনা মঙ্গলবারের পরিবর্তে শুক্রবার – কিংবা তারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। দৃশ্যত দু’পক্ষের ‘‘কনসালটেশনস” চলেছে, বলে কিয়েভের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। মিনস্ক বৈঠক পিছনোর দাবি দৃশ্যত বিদ্রোহীদের। তাদের এক নেতা ডেনিস পুশিলিন এএফপি সংবাদ সংস্থাকে টেলিফোনে বলেছেন: ‘‘আমরা আলাপ-আলোচনায় অংশ নেব। কিন্তু তা আরো বেশি সফল হবার জন্য ঐ আলাপ-আলোচনা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক।”
আর একটি ভালো খবর হল এই যে, ইউক্রেন গত জুন মাস যাবৎ এই প্রথম রুশ প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ পেয়েছে – এই শীতে যা কিনা বিশেষ করে প্রয়োজন। রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নাকি নির্দিষ্ট সময়ের দু’দিন আগেই শুরু হয়েছে, বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের গ্যাস পরিবহন কোম্পানি উক্রট্রান্সগ্যাজ। গ্যাসের অভাবে ইউক্রেনকে এ’বছর স্কুল খোলার দিন এবং বসতবাড়িতে ‘উইন্টার হিটিং’ চালু করার দিন এক মাস পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
সবশেষের খবরটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ: রাশিয়ার সমালোচনায় জার্মানি সাধারণত সংযত; কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবার রাশিয়ার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এই বলে যে, ক্রমেই আরো বেশি বিচ্ছিন্ন ক্রেমলিন পূর্ব ইউরোপের স্থিতি হানি করার চেষ্টা করছে এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিকে ইইউ’এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে বিরত করার চেষ্টা করছে। যুগপৎ তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাসেলস এবং ওয়াশিংটনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সপক্ষে যুক্তি রাখেন।