রাজনগরে গৃহবধূ ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ ডিসেম্বর ২০১৪, ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ যাওয়া গেছে। রাজনগর থানার পুলিশ ওই গৃহবধূকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। এব্যাপারে রাজনগর থানায় ওই গৃহবধূ মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের শালন গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা য়ায়, উপজেলা টেংরা ইউনিয়নের শালন গ্রামের আনখার মিয়ার (৩২) কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল একই গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর (২৪) কাছে। টাকা নেয়ারপর সুদসহ দ্বিগুণ টাকাও দেন আনখার মিয়াকে। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ১০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে ওই গৃহবধূকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ এবং কু প্রস্থাব দিয়ে দিয়ে আসছিল সে। গত ৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে টাকা চাইতে গিয়েও ওই গৃহবধূকে আবারো কু- প্রস্থাব দেয় এবং টানাহেচড়া করে আনকার মিয়া। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় যে কোন সময় এর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেয়। পরে শনিবার গভীর রাতে আনকার মিয়া তার দুই সহযোগী নিয়ে ওই গৃহবধূর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তার শ্বাশুরীকে বেঁধে রখে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গতকাল ৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে ওই গৃহবধূকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ থানার মামলা (০৪, ৭-১২-১৪) করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে বিস্থারিত জেনেছি। ওই গৃহবধূর কাছে আনকার মিয়ার সুদের টাকা পাওনা ছিল। এনিয়ে আমার উপস্থিতে সালিশও হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিত চক্রবর্তী বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে আমি ওই এলাকায় যাই। পরে সেখানে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারি। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ থানায় মামলা দিয়েছেন। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।