আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ ডিসেম্বর ২০১৪, ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
আজ ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখাবাসী জেগে উঠেছিল রণহুঙ্কারে। ৩২৫টি গ্রাম যেন প্রতিরোধের এক একটি দূর্গে পরিণত হয়।
বড়লেখা থানাটি ৪ নং সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল। মেজর সি.আর দত্ত সেক্টর কামান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। এ সেক্টরের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করিমগঞ্জে প্রয়াত এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে। বড়লেখা থানার পার্শ্ববতী বার পুঞ্জি ও কুকিরতলে সাব সেক্টর স্থাপন করা হয়। হানাদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ছোট বড় আক্রমণ চালিয়েছে এ সাব সেক্টরের মুক্তি সেনারা। যুদ্ধের সূচনাতেই বড়লেখার স্থানে স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সংগ্রামী বড়লেখাবাসী। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তাঁরা নেমে পড়েন শত্রুর মোকাবেলায়। বড়লেখায় মুক্তিযুদ্ধারা যেসব স্থানে অপারেশন চালায় তাদের মধ্যে গ্রামগুলো হল- লাতু, সারোপার, শাহবাজপুর, ধামাই চা বাগান, হাকালুকি পারের কয়েকটি গ্রাম, বোরাথল, মাইজগ্রাম, ডিমাই, কেছরিগুল, কাঁঠালতলী, মাধবকুণ্ড, দশঘরি। এগুলো মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করত।
বড়লেখা থানায় পাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রয়েছে রকমফের। এর কারণ এ উপজেলার বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ। পাহাড়, হাওর, খাল-বিল, টিলা, নদী এক অবিশ্বাস্য সমন্বয় হচ্ছে বড়লেখা থানা। ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের প্রভাব প্রতিবিম্বিত হয় যুদ্ধ কৌশলে। পাহাড়, টিলা, উচুভূমি আর সমতল কিংবা নিম্নাঞ্চলের যুদ্ধের কৌশল সঙ্গত কারণেই ছিল পৃথক।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল হানাদারা বড়লেখা ছাড়তে বাধ্য হয়। ৬ ডিসেম্বর ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হলে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ করা হয়।