জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানে হারিয়ে ২-০ এ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০১৪, ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক ::
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেও জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে ৬৮ রানে জয় পায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩১ বল বাকি থাকতেই সব উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে আরাফাত সানি একাই নিয়েছেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেটে। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৫০ রানের মধ্যে চারটি উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের।
প্রথম ওভারের শেষ বলেই জিম্বাবুয়ের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মাশরাফি। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠান তিনি। সপ্তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ভুসি সিবান্দাকে (২১) বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করেন মাশরাফি। এরপর নবম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মাশরাফি। মাশরাফির বলে মাহমুদুল্লার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সিকান্দার রাজা (১৬)। এরপর দলীয় ৫০ রানের মাথায় আরাফাত সানির বলে মাহমুদুল্লার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন ব্রেন্ডন টেইলর (৮)।
দলীয় ৫০ রানে চার উইকেট পতনের পর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে দলের হাল ধরেন রেগিস চাকাবভা ও সলোমন মায়ারে। তবে বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি এই জুটি। আল-আমিনের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন চাকাবভা (৩২)।
এরপর সাকিব আল হাসানের বলে আরাফাত সানির চমৎকার ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন সলোমন মায়ার। তবে এরপর আর কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে খেলতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে বাংলাদেশ। চমৎকার সূচনার পর ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় মিলে ১৫৮ তুলেন। ৭৫ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার এক বল পরেই আউট হন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান।
অপর ওপেনার বিজয় ফিরে যান দলীয় ১৭৩ রানের মাথায়। আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করেন বিজয়। দুই বল পরে আবারও উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতেন জিম্বাবুয়ের বোলার পানিয়াঙ্গারা। দুই বল মোকাবেলা শেষে কোনো রান না করেই ফিরে যান আগের ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা সাব্বির।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বেশিক্ষণ টিকেনি তাদের জুটিও। কামুঙ্গুজির করা ৪৪তম ওভারে পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক। বাংলাদেশের রান তখন ২০৪। ৪৭তম ওভারের শেষ বলে চাতার মাপা বলে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হন মাশরাফি। মুশফিক আউটের পর উইকেটে আসেন মুমিনুল। তার সঙ্গে রুবেল মিলে ৫০ ওভার ব্যাটিং করে দলের স্কোর ২৫০ পার করান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৫১ রান।
১০ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নেওয়া কামুঙ্গুজি জিম্বাবুয়ের পক্ষে সফল বোলার। এছাড়া পানিয়াঙ্গারা ২টি,সিবান্দা ও চাতার ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েন তামিম-এনামুল। সর্বোচ্চ রেকর্ডটি মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ারের। ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ দুই ব্যাটসম্যান ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শিশিরের প্রভাব ঠেকাতে সিরিজের শেষ ৪টি ম্যাচ এক ঘণ্টা করে এগিয়ে আনায় আজকের ম্যাচটি সাড়ে ১২ টায় শুরু হয়েছে।
৮৭ রানে প্রথম ওয়ানডেতে জিতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এর আগে টেস্ট সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে টাইগাররা।