কার্বন নিঃসরণ কমাতে ওবামার আকস্মিক ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০১৪, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
পরিবেশ দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। আজ ১২ নভেম্বর বুধবার বেইজিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এ বিষয়ে ঘোষণা দেন।
অ্যাপেক সম্মেলন উপলক্ষে চীন সফরের শেষ দিনে আকস্মিকভাবেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন বারাক ওবামা। এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমাবে। শি চিনপিং চীনের হয়ে সরাসরি তেমন কোনো ঘোষণা দেননি। তিনি জানিয়েছেন, ২০৩০ সাল বা তার আগেই চীন কার্বন নিঃসরণ যতটা সম্ভব কমাবে। তাঁর দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার অন্ততঃ ২০ ভাগ বাড়াবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ সময়ে এমন ঘোষণা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই। প্যারিস সম্মেলনের আগেই ওবামা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তাঁর দেশের ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বলবেন এতটা কেউ আশা করেনি। ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি ওবামা। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোকে ‘স্মরণীয়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি খুব গর্ব নিয়ে ঘোষণা করছি যে, আজ আমরা ঐতিহাসিক এক অঙ্গীকার করেছি।”
কিন্তু ঘোষণা দিলেও সে অনুযায়ী কাজ করা ওবামার জন্য সহজ হবে না। বিরোধীদের দিক থেকে প্রবল বাধা আসতে পারে। এমন ইঙ্গিত ইতিমধ্যে পাওয়াও গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল ওবামার কঠোর সমালোচনা করে বুধবার বলেছেন, ‘‘একদম অবাস্তব পরিকল্পনা। প্রেসিডেন্ট এমন একটি পরিকল্পনা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে যাবেন।” মিচ ম্যাককনেল মনে করেন, ওবামার ঘোষণা অনুযায়ী কার্বন নিঃসরণ কমাতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব আরো বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা শিল্পে গত কয়েক বছর ধরেই কর্মী ছাটাই চলছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে কয়লা শিল্পের ক্ষতি করা হবে- এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই এখনো মানতে নারাজ। রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল মনে করেন, ওবামার স্থির করা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে আরো বেকারত্ব বাড়ানোর ঝুঁকিও নিতেই হবে।