দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্যাদা দিন, নাহয় ক্ষতি আপনারই
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০১৪, ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
জানেন কি দাঁতের কারণে মাথাব্যথা বা কোমরব্যথা পর্যন্ত হতে পারে? কিংবা মুখের ভেতরের শুষ্কতার সাথে হজমের সম্পর্ক রয়েছে? দাঁত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য থাকছে এই ছবিঘরে।
অতিরিক্ত সংবেদনশীল দাঁত
মজার একটি আইসক্রিমে কামড় দিলে দাঁত কেমন শিড়শিড় করে ওঠে কিংবা গরম কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিলেও প্রায় একই অবস্থা হয়। অথবা দাঁত ব্রাশ করা সময় রক্ত বের হয়ে থাকে অনেকের। এরকম অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার, আবার অনেক সময় দাঁত ব্রাশ অসুস্থ দাঁতের অবস্থা বুঝিয়ে দেয়। এমন অনুভূতির সাথে বহু মানুষ পরিচিত হলেও এর আসল কারণ হয়ত অনেকেরই জানা নেই।
দাঁতের শেকড়
এরকম অসুস্থ দাঁত ঠান্ডা, গরম বা যে কোনো ধরণের চাপ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। এ সব চাপ দাঁতের মূলে, অর্থাৎ স্নায়ু ও শেকড়ের মাধ্যমেই মস্তিস্কে যায়।
ব্যথার জন্যও দায়ী অসুস্থ দাঁত
ব্যথার জন্যও দায়ী অসুস্থ দাঁত‘‘ দাঁত বা দাঁতের মাংশপেশিতে ব্যথা, রাতে ঘুমের ভেতর শব্দ করে দাঁত ঘষা, চোয়ালের জয়েন্টগুলোয় সমস্যার কারণে মাথাব্যথা, টিনিটাস, মাথাঘোরা, ঘাড়ব্যথা, কোমরব্যথা ইত্যাদি রোগ হতে পারে। তাছাড়া চোয়ালের পেশির নার্ভের সাথে আছে মেরুদণ্ডেরও সম্পর্ক। এমনকি ‘‘শুধু একটিমাত্র অসুস্থ দাঁতের কারণে পুরো শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে’’, বলেন কোলন শহরের দন্ত বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োখেন শ্মিড।
নিয়ম করে দাঁত মাজুন
দাঁতকে সুস্থ রাখতে নিয়মিতভাবে দাঁত মাজা ছাড়াও, দাঁতের ফাঁকগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। দাঁতের মধ্যকার ফাঁক পরিষ্কার করার জন্য রয়েছে বিশেষ ধরণের ছোট ছোট ব্রাশ, ‘ডেন্টাল ফ্লস’ ইত্যাদি। প্রতিদিন সকাল ও রাতে কমপক্ষে দু’মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করবেন। অবশ্য ভালো হয় যদি ফ্লোরাইড সম্বলিত টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়।
নিয়ম করে দাঁত মাজুন
দাঁতকে সুস্থ রাখতে নিয়মিতভাবে দাঁত মাজা ছাড়াও, দাঁতের ফাঁকগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। দাঁতের মধ্যকার ফাঁক পরিষ্কার করার জন্য রয়েছে বিশেষ ধরণের ছোট ছোট ব্রাশ, ‘ডেন্টাল ফ্লস’ ইত্যাদি। প্রতিদিন সকাল ও রাতে কমপক্ষে দু’মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করবেন। অবশ্য ভালো হয় যদি ফ্লোরাইড সম্বলিত টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়।
বিশেষ যত্ন
এ সব ক্ষেত্রে নরম টুথ ব্রাশ এবং খুব অল্প চাপ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সম্ভব হলে ইলেক্ট্রিক ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এই ব্রাশ প্রয়োজন অনুযায়ী চাপ দিয়ে থাকে। সংবেদনশীল দাঁতের জন্য তৈরি বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করলেই ভালো। তাছাড়া দাঁতের ডাক্তার দেখিয়ে এ সমস্যার আসল কারণ জেনে নেয়া উচিত।
দাঁতের মাড়ির ‘ইনফেকশন’
প্রথমদিকে শুধু একটি দাঁতে ব্যথা, তারপর একটু রক্ত পরা বা সামান্য ফুলে যাওয়া, অথবা দাঁত মাজার সময় খানিকটা ব্যথা – এগুলোকে মোটেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ এগুলিই মাড়িতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধার প্রাথমিক লক্ষণ, যা পরে মারাত্বক আকার নেয় এবং দাঁতের অস্থির ক্ষয়রোগে পরিণত হয়। জার্মানিতে যাঁরা দাঁতের মাড়ির ইনফেকশনে ভোগেন, তাঁদের ৮০ শতাংশরই বয়েস ৩৫ বছরের বেশি।
ছোটবেলা থেকেই দাঁতের যত্ন
মাড়ি নরম হয়ে গেলে আর দাঁতকে ধরে রাখার কোনো ‘সাপোর্ট’ থাকে না। ফলে ধীরে ধীরে দাঁত পড়ে যেতে থাকে। শুধু তাই নয়, দাঁতের ব্যাকটেরিয়াগুলো শরীরের অন্যান্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে। দাঁতের স্বাস্থ্যের মূল কথা – দাঁত খুব ভালো করে পরিষ্কার রাখা। তবে ভালো হয় ডাক্তারকে দেখিয়ে সব নিয়মকানুন জেনে সেভাবে দাঁতের যত্ন নেওয়া। আর তা অবশ্যই একেবারে ছোটবেলা থেকে!
বেশি করে পানি পান করুন
দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি খান, কারণ পানি মুখের ভেতরটা ভেজা রাখে, ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলে এবং খাবারের শেষ টুকরোগুলোকে পেটের ভেতরে নিয়ে যায়। বেশি করে পানি এবং চিনি ছাড়া চা পান করুন। কারণ চিনি যুক্ত চা ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘন ঘন জলপান মুখের ভেতর এবং পেট পরিষ্কার রেখে হজমেও সাহায্য করে।
দন্তবন্ধনী
অল্পবয়সি ছেলে-মেয়েদের দাঁত এলোমেলোভাবে বেড়ে উঠলে বা ক্ষয়ে গেলে, স্বাস্থ্য ও সোন্দর্য্য রক্ষায় ডাক্তাররা ‘ফিলিং’ করেন অথবা দাঁতে তাঁরের ‘ব্রেস’ বা বন্ধনী দিয়ে থাকেন। এটা কমপক্ষে একবছর নিয়ম করে, অর্থাৎ সব সময় পরে থাকতে হয়। তবে আজকাল বয়স্কদের মুখেও বন্ধনী দেখা যায়। কারণ কার, কতদিন, কী ধরনের বন্ধনী প্রয়োজন – তার উত্তর একমাত্র দিতে পারবেন দাঁতের ডাক্তারই।