বাংলাদেশের আবারো পিকনিক মুডে ব্যাটিং
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ
৪৮৯ রান তাড়া করে বাংলাদেশকে জিততে বলেনি কেউ। কে বলবে? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের ব্যাটসম্যানদের যে অবস্থা তাতে বরং বিশাল পরাজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বেশির ভাগ মানুষ। তাঁদের শঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করার একটা তাড়না দেখিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। কিন্তু এর পরের ব্যাটসম্যানরা যেন ‘যতটা দ্রুত সম্ভব’ টেস্ট শেষ করার দিকেই মনোযোগী হলেন বেশি। ফল, আরও একবার তাসের ঘরের মতো ধসে পড়া। প্রথম ইনিংসে কেমার রোচ শেষ করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। এবার শেষ করলেন একজন স্পিনার—সুলিমান বেন। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে চতুর্থ দিনেই ২৯৬ রানের বিশাল পরাজয়ের কলঙ্ক গায়ে মেখে নিয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা তার পরও ছিল আশাজাগানিয়া। তামিম, শামসুরদের ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল সফরের একেবারে শেষলগ্নে এসে নিজেদের ইমেজ হয়তো একটু হলেও বদলে দেওয়ার চেষ্টায় আছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তামিম ছিলেন প্রচণ্ড স্থিতধী, কিন্তু শামসুর ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্বভাবমতোই। শামসুরের ব্যাটে মার-কাট থাকলেও তা নিয়ন্ত্রিত থাকায় ক্রিকেটপ্রেমীদের কেউ কেউ হয়তো টেলিভিশনের সামনে নড়েচড়েই বসতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শামসুর নিজের ‘স্বভাব’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেন না। জেরম টেলরের শর্ট বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারার মজায় এমনভাবেই মেতে উঠেছিলেন যে শেষ অবধি হারিয়ে ফেলেছিলেন হিতাহিত জ্ঞান। ভুলেই গিয়েছিলেন যে টেস্ট ম্যাচে শর্ট বলেই ফাঁদে পড়ার প্রভূত আশঙ্কা আছে। টেলর শামসুরকে ফেরান ওই একটি শর্ট বলেই।
টেলরের সপ্তম ওভারে শামসুর তুলেছিলেন ১৬ রান। একই জায়গা দিয়ে মেরে। পরের ওভারেই ফাঁদটা পাতলেন অধিনায়ক দীনেশ রামদিন। ক্রিক এডওয়ার্ডসকে ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে টেলরকে একই ধরনের বল করতে বললেন। শামসুর আগের মতোই এক শর্ট বল পেয়ে নিজের শট আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তুলে দেন সোজা এডওয়ার্ডসের হাতে।
শামসুরের বিদায়ের আগে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৪৭ রান। তিন নম্বরে এনামুল এসে তেমন কিছুই করতে পারেননি। বেনের একটি লাফিয়ে ওঠা বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে অধিনায়ক রামদিনের হাতে।
দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর আরও একটি বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল ধরেন তামিম ও মুমিনুল। এই সময়টা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের দারুণ একটি সময়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খেলে তামিম ও মুমিনুল আশা জাগিয়েছিলেন। দুজনের মধ্যে ১১০ রানের একটা জুটিও গড়ে ওঠে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৫৮, ঠিক তখনই ব্যক্তিগত ৬৪ রানে বেনের বলে তামিম শ্যারন গ্যাব্রিয়েলকে ক্যাচ দেন। ১৮১ বল খেলে মাত্র ২ চার ও ১ ছয়ে সাজানো তামিমের এই ইনিংসটি অনেক বড় কিছুরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তামিম তাঁর ইনিংসটিকে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।
তামিম ফিরে যাওয়ার পরেই মড়ক লাগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে আর মাত্র ৩৪ রান যোগ করতেই বালুর বাঁধ হয়ে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন শূন্যরানে। এরপর তামিমের জুটিসঙ্গী মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ৫৬ রানে।
মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলের পর ১১ রানে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘বিরল’ হয়ে যাওয়া নাসির হোসেনের ব্যাটিং প্রতিভা কাল দলকে উপহার দিতে পেরেছে মাত্র ২ রান। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন ‘বোলার’ শফিউল ইসলাম। তিনি ১৪ রান করে লজ্জা দিয়েছেন অন্তত নাসির হোসেনকে। তাইজুল, রবিউল ও আল-আমিন হোসেনের কাছ থেকে এরপর প্রত্যাশার কিছু ছিল না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সুলিমান বেনের সংগ্রহ ৫/৭২। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব। এ ছাড়া জেরম টেলর পেয়েছেন ৩ উইকেট। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসের ২০তম ১০০ উইকেট শিকারি বোলার। শিবনারায়ণ চন্দরপলের কথা ভুলে গেলে হবে কীভাবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট শতক। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ২৯ টেস্ট শতককে ছাড়িয়ে যাওয়া চন্দরপলের ইনিংস কী কিছু শিখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের?
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা তার পরও ছিল আশাজাগানিয়া। তামিম, শামসুরদের ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল সফরের একেবারে শেষলগ্নে এসে নিজেদের ইমেজ হয়তো একটু হলেও বদলে দেওয়ার চেষ্টায় আছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তামিম ছিলেন প্রচণ্ড স্থিতধী, কিন্তু শামসুর ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্বভাবমতোই। শামসুরের ব্যাটে মার-কাট থাকলেও তা নিয়ন্ত্রিত থাকায় ক্রিকেটপ্রেমীদের কেউ কেউ হয়তো টেলিভিশনের সামনে নড়েচড়েই বসতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শামসুর নিজের ‘স্বভাব’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেন না। জেরম টেলরের শর্ট বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারার মজায় এমনভাবেই মেতে উঠেছিলেন যে শেষ অবধি হারিয়ে ফেলেছিলেন হিতাহিত জ্ঞান। ভুলেই গিয়েছিলেন যে টেস্ট ম্যাচে শর্ট বলেই ফাঁদে পড়ার প্রভূত আশঙ্কা আছে। টেলর শামসুরকে ফেরান ওই একটি শর্ট বলেই।
টেলরের সপ্তম ওভারে শামসুর তুলেছিলেন ১৬ রান। একই জায়গা দিয়ে মেরে। পরের ওভারেই ফাঁদটা পাতলেন অধিনায়ক দীনেশ রামদিন। ক্রিক এডওয়ার্ডসকে ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে টেলরকে একই ধরনের বল করতে বললেন। শামসুর আগের মতোই এক শর্ট বল পেয়ে নিজের শট আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তুলে দেন সোজা এডওয়ার্ডসের হাতে।
শামসুরের বিদায়ের আগে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৪৭ রান। তিন নম্বরে এনামুল এসে তেমন কিছুই করতে পারেননি। বেনের একটি লাফিয়ে ওঠা বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে অধিনায়ক রামদিনের হাতে।
দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর আরও একটি বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল ধরেন তামিম ও মুমিনুল। এই সময়টা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের দারুণ একটি সময়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খেলে তামিম ও মুমিনুল আশা জাগিয়েছিলেন। দুজনের মধ্যে ১১০ রানের একটা জুটিও গড়ে ওঠে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৫৮, ঠিক তখনই ব্যক্তিগত ৬৪ রানে বেনের বলে তামিম শ্যারন গ্যাব্রিয়েলকে ক্যাচ দেন। ১৮১ বল খেলে মাত্র ২ চার ও ১ ছয়ে সাজানো তামিমের এই ইনিংসটি অনেক বড় কিছুরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তামিম তাঁর ইনিংসটিকে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।
তামিম ফিরে যাওয়ার পরেই মড়ক লাগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে আর মাত্র ৩৪ রান যোগ করতেই বালুর বাঁধ হয়ে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন শূন্যরানে। এরপর তামিমের জুটিসঙ্গী মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ৫৬ রানে।
মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলের পর ১১ রানে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘বিরল’ হয়ে যাওয়া নাসির হোসেনের ব্যাটিং প্রতিভা কাল দলকে উপহার দিতে পেরেছে মাত্র ২ রান। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন ‘বোলার’ শফিউল ইসলাম। তিনি ১৪ রান করে লজ্জা দিয়েছেন অন্তত নাসির হোসেনকে। তাইজুল, রবিউল ও আল-আমিন হোসেনের কাছ থেকে এরপর প্রত্যাশার কিছু ছিল না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সুলিমান বেনের সংগ্রহ ৫/৭২। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব। এ ছাড়া জেরম টেলর পেয়েছেন ৩ উইকেট। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসের ২০তম ১০০ উইকেট শিকারি বোলার। শিবনারায়ণ চন্দরপলের কথা ভুলে গেলে হবে কীভাবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট শতক। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ২৯ টেস্ট শতককে ছাড়িয়ে যাওয়া চন্দরপলের ইনিংস কী কিছু শিখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের?