হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকও কর্মচারীদের সাংবাদিক সম্মেলন
“প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ,অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে”
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ এপ্রিল ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষকও কর্মচারীদেরকে নানাভাবে হয়রানির বিরুদ্ধে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ এপ্রিল দুপুর ১২’৩০ মিনিটের সময়।
সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক সরওয়ার আহমেদ এর সভাপতিত্বে মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন সহকারী শিক্ষক মিফতাহুজ্জামান সাজু।
অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন অভিভাবক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা, লেখক ও গবেষক ডক্টর আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয় প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীন কোন অডিট কার্যক্রম নেই। ম্যানেজিং কমিটিতে থাকা শিক্ষক প্রতিনিধিরা অডিট এর কথা বললে তিনি নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। তিনি তার নিজস্ব লোকজনকে খন্ডকালীন শিক্ষক হি সেবে নিয়োগ দিতেন। তারা দিনের পর দিন অনুপন্থিত থাকলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিতেন না। বিধি মোতাবেক প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে শিক্ষকরা বঞ্চিত ছিলেন। নতুন শিক্ষকদের বাড়ী ভাড়ায় তিনি চরম বৈষম্য করেছেন। অনলাইনে বেতনও ভর্তি ফি নেয়ার কথা থাকলেও তিনি রশিদ ওভাইচার ছাড়া হাতে হাতে টাকা গ্রহণ করতেন ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের সাথে তিনি সবসময় দুর্বব্যবহার করেন।
বিদ্যালয়ের মুল তহবিলে এফডিআর হিসেবে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৬ টাকা থাকার কথা থাকলেও এর উল্লেখযোগ্য অংশ আত্মসাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের অডিট রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ১ হাজার টাকা তছরুফের অভিযোগ উঠলে তিনি কৌশলে ম্যানেজিং কমিটি ভে্ংেগ তার মনমতো কমিঠি গঠন করে সে যাত্রা রক্ষা পান। বিভিন্নসময়ের রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ধরা পড়লেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ।
তিনি নিজেকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) সহ ৭ জনকে বিবাদী করে তার দায়িত্ব পারনে যাতে কোন বাধা সৃষ্টি করা না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং মামলা নং ৫২/২০২৫ দায়ের করেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং এবং স্কুলটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য শিক্ষকরা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন এর বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিনিয়র শিক্ষক শ্যামলী রানী চন্দ, তৈয়ব আলী মীর এবং মিফতাহুজ্জান সাজু।
সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোস্তফা, নিরমল চন্দ্র কপালী, শান্তনা রানী, আফরোজা খাতুন, সেলিম রেজা, সরোয়ার হোসেন বাদল, সুমন কান্তি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক ফোরাম এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।