জামিনে মুক্তি পেলেন খলিলপুরের লাল মিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ০১ নং খলিলপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের পূর্বখলিলপুর (পংমধপুরের) লাল মিয়া।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
জানা যায়, গত বছরের ২৭ জুলাই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাল মিয়াকে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে লাল মিয়ার বাড়িতে হামলা করে আওয়ামীলীগ নেতা লেপাছ উরফে তোতার গুষ্টির লোকজন, সেই হামলাকে কেন্দ্র করে পুনরায় ২৮ জুলাই ভোরবেলা আওয়ামীলীগ নেতা লেপাছ উরফে তোতার গুষ্টির লোকজন একই গ্রামে লাল মিয়ার মামার বাড়িতে অগ্নি অস্ত্র নিয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের দুই জন নিহত হয়।
লেফাছ উরফে তোতার গুষ্টির রোমান হত্যা মামলায় মৌলভীবাজার র্যাব ৯ এর টিম চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পংমধপুর গ্রাম থেকে লাল মিয়া কে আটক করে। পরবর্তীতে র্যাব ৯ মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করলে পরদিন মডেল থানা পুলিশ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক লাল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৫ি ফেব্রুয়ারি) জি আর ২১৩/২৪( সদর) মামলায় লাল মিয়া জামিন প্রাপ্ত হন। জামিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এ বিষয়ে লাল মিয়া জানান, ২০০৫ সালে আমাদের সম্পত্তির লোভে লেপাছ উরফে তোতার গুষ্টি আমাদের সাথে ঝগড়া করে আসছে, ইতি মধ্যে আমাকে আমার ভাইকে, আব্বাকে বেশ কয়েকবার প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছে, মামলা হয়েছে সেই মামলায় সদর কোট এবং জেলা দায়রা আদালতে তাদের সাজা হয় বর্তমানে সেই মামলা হাইকোট্ এ চলমান রয়েছে। সেই আক্রোশে গত বছর রাত্রে আমার বাড়ির সামনে আমাকে প্রাণে হত্যার জন্য আক্রমন করে সদর কোটের সেই মামলা চলমান রয়েছে, সম্পূর্ন মিথ্যা এবং আক্রোশ বশত আমাকে রোমান হত্যা মামলার আসামী করেছে, ঘটনার সময় আমি গ্রামেই ছিলাম না, যার প্রমান আমার মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ট্যাকিং পাওয়া যাবে কিংবা আমরা পাশে গ্রাম খলিলপুরের অনেক মানুষের জানা, লেফাছ উরফে তোতার গুষ্টি আমাদের সাথে আইনি মোকাবিলা করতে পারবে না যেনে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে নির্যাতন করছে। আমি কারাগারে থাকাথাকীল সময় লেপাছ, লিয়াকত আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়েছে, যদি মামলা আপোস না করি আমাকে প্রাণে হত্যা করবে, লেপাছ এর বোন আমিনা আমার বোনের নাম ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে কারা ফটকে আমাকে বের করে সে ও আমাকে হুমকি দিয়ে এসেছে, জামিনে বের হওয়ার পর আপস না করলে আমাকে জীবিত রাখবে না।আমি এবং আমার পরিবার খুবই আতংকে রয়েছি আওয়ামীলীগ নেতা লেপাছ গং দের ভয়ে ।