শবে বরাতের মতো পুরো শাবান মাসও ফজিলতময়
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
শায়েখ মাহমুদুল হাসান::
শাবান মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে আমরা শুধু শবে বরাতের অপেক্ষা করি। শবে বরাতে একটু বেশি করে আমল করি, বাকী দিনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কাটিয়ে দেই৷ অথচ এ মাস পুরোটাই ইবাদতের। শবে বরাতের আলাদা ফজিলত ও মর্যাদা যেভাবে হাদীস দ্বারা স্বীকৃত সেভাবে পুরো শাবান মাসের ফজিলতও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
শাবান মাস প্রবেশ করার পর শয়তান আমাদেরকে অনর্থক কাজগুলোতে আরো বেশি ব্যস্ত রাখে। একেবারে গুরুত্বহীনভাবে শাবান মাসটি আমাদের কাছ থেকে চলে যায়৷ এ জন্য নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাস সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করেছেন ذَاكَ شَهْرٌ يَغْفُلُ النَّاسُ عَنْهُ بَيْنَ رَجَبٍ وَرَمَضَانَ
-শাবান হলো রজব ও রামাদানের মধ্যবর্তী মাস।
এ মাস সম্পর্কে মানুষ গাফেল থাকে। (অর্থাৎ এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে গাফেল থাকে)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এই মাসে ইবাদাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতেন। বেশি বেশি রোযা বেশি। (আবু দাউদ, ২৪৩১)
এ মাসের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো— এই মাসেই আমাদের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। (নাসাঈ, ২৩৫৭)
এ মাসের যদি আমরা বেশি ইবাদত করতে পারি তাহলে রামাদান মাসে ইবাদত করা আমাদের জন্য সহজ হবে। কারণ ইবাদতের অভ্যাস হঠাৎ করে একদিনে হয় না। বরং ধীরে ধীরে ইবাদতের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। এখন থেকে যদি ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি আমরা কিছু কিছু নফল ইবাদত করি তাহলে রামাদান মাসে ইবাদত করতে আমাদের জন্য সহজ হবে।
এখন থেকে রুটিন করে প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। শাবান মাস আসলে আমাদের সালাফরা কুরআন হাতে নিয়ে বসে যেতেন। রাত জেগে জেগে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। কারণ এই মাস থেকে কুরআনের সাথে উঠা-বসা শুরু হলে রামাদান মাসে কুরআন তিলাওয়াত করা আরো সহজ হবে৷
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শবে বরাত সহ পুরো শাবান মাসে বেশি বেশি ইবাদত করার তাওফিক দান করুন।