আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো চাঁদাবাজ-মাস্তান শ্রেণী দেশে রাজনীতি করতে পারবে না: মামুনুল হক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আমরা যদি সংঘবদ্ধভাবে কিছু সংখ্যক লোক অগ্রসর হই তাহলে কোনো চাঁদাবাজ, মাস্তান শ্রেণী, টেন্ডারবাজ, দখলদার শ্রেণী বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের রাজনগরে ইটা চা-বাগানের ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, সত্য অনেক শক্তিশালী। সত্যের অনুসারীরা কম হলেও তারা শক্তিশালী। মিথ্যার অনুসারীরা সংখ্যায় বেশি হলেও তারা দুর্বল। তাই দেশ গঠনে ১৮ কোটি মানুষের চেয়ে ১৮ লক্ষ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলেই সত্যের বিজয় নিশ্চিত। জনগণের সম্পদ চুরি করে যারা খায়, এটা কোনো বৈধ সম্পদ নয়, এই সম্পদ হলো জাহান্নামের আগুন। প্রচলিত রাজনৈতিক বন্দবস্ত দিয়ে এইভাবে এক শ্রেণির মানুষ, তারা হারামখুরি করে জনগণের সম্পদ চুরি করে। তারা ক্ষমতায় গেলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে। আবার ক্ষমতা হারিয়ে গেলে শুরু হয় তাদের ইনভেস্টমেন্ট।
তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে পশ্চিমা সভ্যতা যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, এই পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা ভোগবিলাসের অর্থব্যবস্থা, এই অর্থব্যবস্থা গরীবের রক্ত শোষণ করে বড়লোকদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবার অর্থব্যবস্থা। আর এই অর্থব্যবস্থা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমারা গোটা পৃথিবীতে জুলুমতন্ত্র কায়েম করছে। এই ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্যে একমাত্র বিকল্প ইসলাম ও খেলাফত।
তিনি বলেন, অন্য কোনো ব্যাবস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র নেতাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার মাজে কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রকৃতঅর্থে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। কারণ এই ব্যবস্থার সিস্টেমের মধ্যে সেটা নাই। আছে জনগণের অধিকার হনন করে, রাস্ট্রীয় সম্পদ চুরি করে এক দলের উপর আরেকদল লালিত পালিত হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নতুন এই আমির বলেন, বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যারা রাজনীতির চর্চা করে, সংগঠন করে, নেতৃত্ব দেয় তাদের অবস্থা হলো, পাঁচ-দশ-পনেরো বছর ইনভেস্ট করো, ক্ষমতায় আসতে পারবে। সব ইনভেস্ট সুদে আসলে উশুল করে নিবে। যারা রাজনীতি করে তাদের সকলের ইচ্ছা থাকে পার্টি ক্ষমতায় গেলে সব উশুল করে নিবো। প্রশ্ন হলো, পার্টি ক্ষমতায় গেলে যে সব উশুল করবা, এই সম্পদ তোমাকে কে দিবে? কোথাও থেকে বৈধ উপায়ে দেওয়ার কেউ নাই। উপায় একটাই, রাস্ট্রের সম্পদ চুরি করতে হবে, জনগণের সম্পদ চুরি করতে হবে, মানুষের অধিকার হনন করতে হবে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাও. শেখ ফরিদ আহমদ খান, কেদ্রীয় সদস্য মাও. জালাল উদ্দীন আহমদ, সিলেট মহানগর সভাপতি গাজী রহমতুল্লাহ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমি, সাধারণ সম্পাদক মাও. মুফতি হেলালুর রহমান হেলাল, বড়লেখা উপজেলা সভাপতি মাও. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাও. হাবিবুর রহমান, মুন্সিবাজার ইউপি সভাপতি মাও. মুহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাও. আব্দুল জব্বার, রাজনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুবের চৌধুরী, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল হোসেন প্রমূখ।