পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে তারেক রহমান এর পোস্ট
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এঁর মহিমান্বিত সত্ত্বার আবির্ভাব ঘটে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এঁর মহিমান্বিত সত্ত্বার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্ব নবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমণ দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়। আজ আল্লাহ’র প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। আল্লাহ তা’আলা তাঁর মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হযরত মুহম্মদ (সঃ) এঁর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অত্যাচার—অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব—সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।
মহানবী (সঃ) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল—কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার, মানুষে মানুষে হানাহানি, যুগের পর যুগ যুদ্ধ—বিগ্রহ, নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ। এই সময় যাঁর আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণ, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সঃ) এঁর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল—আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সঃ) এঁর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই—বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।