মৌলভীবাজারে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:৪১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে ধর্মীয় নেতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটলের হল রুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুরর্স পার্টনার ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা) আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনিস্টটিউট (আইআরআই) ও ইউএসএআইডির সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডলের সভাপতিত্বে রূপসার প্রোগ্রাম পরিচালক শেখ মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শাহ বন্দর জামে মসজিদের ইমাম ডা. মাওলানা মো: মইন উদ্দীন, মৌলভীবাজার টাউন কামিন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো: আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ মৌলভীবাজারের সহ-সভাপতি এড. আসিত রঞ্জন ভট্টাচার্য, শ্রীমঙ্গলের ব্যাপটিস্ট গির্জার যাজক জন ব্রাইট গাজী।
আরোও উপস্থিত ছিলেন, রুপসা অনুষ্ঠানটির কর্মকর্তা অভিজিৎ ব্যাপারি, অনুষ্ঠানটির সহকারী কর্মকর্তা পূজা রানী বিশ্বাস সহ আরো অন্যান্য।কর্মশালায় রূপসার প্রোগ্রাম অফিসার সুমি খাতুন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।
হিরণ্ময় মণ্ডল বলেন, আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি আছে, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। বাংলাদেশের কোন ধর্মীয় নেতা সাক্ষী দেন না যে কোন বদ্ধ ধর্মীয় লোকেরা মসজিদ ভাঙচুর করেছে কিংবা কোন মুসলিম নেতারা মন্দির ভাঙচুর করেছে। তাহলে এই সহিংসতা করছে কারা, তিনি ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ধর্মীয় নেতারাই পারেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে। সম্প্রীতি স্থাপনের কাজ সকলে মিলেই করতে হবে।
বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তারা বলেন, আমাদের এই সাম্প্রতিক যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে, এই সমস্যা তৈরীর অন্যতম কারণ হলো, ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব। অনেকেই বলেন আমরা সংখ্যালঘু সংখ্যা গরু, সংখ্যালঘু বলার আর কোন সময় নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। সুস্থ মানসিক অবস্থান আমাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে। আমরা খ্রিস্টান হতে পারি হিন্দু হতে পারি মুসলমান ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীও হতে পারি, যেহেতু এই ভূখণ্ডে আমাদের অবস্থান এইজন্য সবাই বলবো আমরা বাংলাদেশ।
বক্তারা আরো বলেন, একটা শব্দ রয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। এখানে সৃষ্টির সেরা জীব মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এদের কথা বলা হয়নি। আমাদের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের ব্যানারে লেখা থাকে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে। বিশ্ব মানবতা মানে কি, বিশ্ব মানবতা মানে হচ্ছে মানুষের কল্যাণ অর্থাৎ বিশ্ব মানবতার কল্যাণে আমরা কাজ করে যেতে চাই।