মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস
নিয়োগ বাণিজ্য জড়িতের অভিযোগে পাঁচ কর্মচারী বদলি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
তারা হলেন- মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রধান সহকারী অসিত চক্রবত্রী, পরিসংখ্যানবিদ অহিজিৎ দাস, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রঞ্জনা দেবী, ষ্টোর কিপার অলক চন্দ্র পাল, অফিস সহায়ক (প্রেষণে) বিরজিৎ দাশ।
জানা যায়, সম্প্রতি ৭৪টি পদের মধ্যে কেবল ৬৭টি জনই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিয়োগ পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা স্যোশাল মিডিয়ায় জানাজানি হলে হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জেলাবাসীর। নিয়োগবঞ্চিত ও সচেতনমহল নিয়োগকৃতদের চাকুরী বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছেন। ওই নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার গুরতরও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সদস্য, পরীক্ষক ছাড়াও মন্ত্রী এমপিসহ সিভিল সার্জন অফিসের ৫ জন কর্মচারী ও ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে সরাসরি এই দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী অসিত চক্রবর্তী, হেড এ্যাসিটেন্ড কাম ক্যাশিয়ার রঞ্জনা দেবী,পরিসংখ্যানবিদ অহিজিৎ দাস রিংকু, ষ্টোর কিপার অলকচন্দ্র পাল ও ২৫০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিতাংশ আচার্য্যসহ অন্যরা। দালালের মাধ্যমে উপরের উল্লেখিতরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। তারা নিয়োগ কমিটিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা সদস্যদের ম্যানেজ করে চাকুরী দেবার শর্তে অন্তত ৫০-৬০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। নিয়োগের পরও আরেক দফা পোস্টিং বাণিজ্য করেন সিভিল সার্জন অফিসের সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনার নেপথ্যে আর্থিক বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল) সাবেক এমপি ও কৃষি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিএমএর মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ডা: সাব্বির হোসেন খান ও ডা: শাহজাহান কবির চৌধুরী।
ওই নিয়োগ কমিটিতে আহবায়ক ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট, ডা: মো: আনিসুর রহমান, সদস্য ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) উপ-সচিব মনিরা পারভীন, পিএসসির উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, আমার অফিসের পাঁচজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তাদের বদলি করা হয়েছে।নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে যদিও প্রশ্ন উঠেছে তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন।