সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, হামলা ও মালামাল লুট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
ষ্টাফ রিপোর্টার::
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রেজাউল করিমের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, হামলা ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের দিন দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সম্পাশী গ্রামে মৃত লাল মিয়া বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ব্সতঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, বিদেশে বসে ফেসবুকে লেখালেখির জেরে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।অতর্কিত হামলায় অনেকের পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কারো পরিবারের মালামালও লুট করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট দেশত্যাগের পর থেকে বিগত ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সকল ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমের এর বাড়িতে ১৫ আগষ্ট দুপুরে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম দেশে থাকাকালিন সময়ে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী জিতু এর গ্রুপের সক্রীয় সদস্য ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদের গ্রুপিং হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে দেশত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে চলে যান। ১৫ আগষ্ট তার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। ঘরে থাকা অনেক মালামালের ক্ষতি হয়। স্থানীয়রা এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেজাউলের মা সহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে বিদেশে থাকে। আমি আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থানকালে এই হামলা হয়। আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করতে থাকে। সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে না পেয়ে বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর, লুটপাট ও তাণ্ডব চালায়। এতে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। আমার ছেলে দেশে আসলে ওরা আর তাকে প্রাণে বেঁচে রাখবে না।
পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান বলেন, ৫ তারিখের পর ৪/৫ দিন আমাদের পুলিশও থানায় ছিলেন না। এই সুযোগে কিছু লোক প্রবাসীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও হামলা করে। অভিযোগ পেয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।