মৌলভীবাজারে আওয়ামীলীগের ১৫৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাধা ও হামলার ঘটনায় সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৫৫ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ২০০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম। গতরাতে মৌলভীবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক আব্দুল কাদির তালুকদার।
মামলার এজহারে আসামী করা হয়েছে- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি নেছার আহমদ, এমপি জিল্লুর রহমান, মেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি, রেজাউর রহমান সুমন, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক, শেখ রুমেল আহমেদ, একাটুনা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমীন, গৌছ উদ্দিন নিক্সনসহ ১৫৫ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ নানা পর্যায়ের নেতাকর্মীকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় গত ৪ আগস্ট রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের চৌমোহনা, কোর্ট রোড, সেন্ট্রাল রোড, শমশেরনগর রোড ও চাঁদনীঘাট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এসময় তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধলে অনেকেই হতাহত হন।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদির তালুকদার জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট জেলা সদরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এ সময় সাবেক এমপির নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দেয়। একপর্যায়ের হামলা চালিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
তিনি জানান, গতরাতে থানায় সাবেক এমপি জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার আহমদসহ হামলায় জড়িত ১৫৫ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় মামলায় আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।