যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমদের বাড়িতে ভাঙচুর ও মালামাল লুট
প্রকাশিত হয়েছে : ৭ আগস্ট ২০২৪, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
ষ্টাফ রিপোর্টার:
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ৮নং কনকপুর ইউ.পি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমদের বাড়িতে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮নং কনকপুর ইউনিয়নের নলদাড়িয়া গ্রামে এডভোকেট মোস্তাক আহমদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে বিএনপি ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ব্সতঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, বিদেশে বসে ফেসবুকে লেখালেখির জেরে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। অতর্কিত হামলায় অনেকের পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। কারো পরিবারের মালামালও লুট করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট দেশত্যাগের পর থেকে বিগত ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সকল ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাক আহমদের বাড়িতে ৭ আগষ্ট দুপুরে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। তার বাড়িতে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা।
মোস্তাক আহমদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে বিদেশে থাকে। আমি আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থানকালে এই হামলা হয়। আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করতে থাকে। এসময় আমি ও আামার পরিবার বাধা দিলে ও কারন জানতে চাইলে তারা বলতে থাকে তর ছেলে মোস্তাক যুবলীগ করতো একারনে আমরা হামলা করেছি। সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে না পেয়ে বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর, লুটপাট ও তাণ্ডব চালায়। এতে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। আমার ছেলে দেশে আসলে ওরা আর তাকে প্রাণে বেঁচে থাকতে দিবে না। এ পর্যায়ে আমার পরিবার থানায় গিয়ে পুলিশের শরনাপন্ন হয়েও উপকৃত হইনি।
পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান বলেন, ৫ তারিখের পর ৪/৫ দিন আমাদের পুলিশও থানায় ছিলেন না। এই সুযোগে কিছু লোক প্রবাসীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও হামলা করে। অভিযোগ পেয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।