বৈধ বালু মহালের অবৈধ বালু জব্দের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ জুলাই ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনু নদীর দুইটি বালু মহালে অবৈধভাবে বালু জব্দের করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে দুইটি বালু মহালের ইজারাদার মনাই মিয়া মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনু নদী আংশিক-১৯ বালু মহাল সমূহের ১৪৩০ ও ১৪৩১ বাংলা সনের ইজরাদার মনাই মিয়া। এই বালু মহাল সমূহের ১৪৩১ বাংলা সনের সমূহ রাজস্ব ও খরাদি যথারীতি পরিশোধ করেন তিনি। মনাই মিয়া সহ আরও অনেকেই মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত মনু নদীর বৈধ ইজারাদার। কিন্তু বৈধ বালি নিলাম হওয়াতে তিনি সত্যি হতবাক ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মনাই মিয়া আখাইলকুড়া বালি মহাল থেকে ইজারা কৃত সময়ের পূর্বেই বালি উত্তোলন সম্পন্ন করেন। বালি বিক্রির প্রথম দিন হঠাৎ ৫ই চৈত্র ১৪৩০ বাংলা ১৯ মে ২০২৪ ইং মৌলভীবাজার সদর স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নানকার কামালপুর তসিলদার, মোঃ আওতাদুর রহমান, সহকারী তসিলদার জামাল মিয়া বালি বিক্রি করতে আপত্তি জানান। কারণ জানতে চাইলে তসিলদারগণ বলেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। পরের দিন তসিলদার গনের সাথে যোগাযোগ করা হলে একটু সময় দিতে বলেন। উপরের নির্দেশ এবং শেরপুর নামক স্থানে অবৈধ বালি উত্তোলনে কেন অভিযোগ দিলেন এজন্য আপনার বালির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। একটু ধৈর্য্য ধরুন আপনার বৈধ বালি আপনি বিক্রি করবেন যদি সম্ভব হয় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় আলী হোসেন যুবরাজ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক উনার সাথে যোগযোগ করেন। উনি বললেন স্থানীয় তসিলদারগন যা বলেন মেনে নিন। কিছুদিন পর তসিলদারগণের সাথে যোগাযোগ করা হলে বালি বিক্রির অনুমতির জন্য বড় অংকের টাকা চেয়ে বসলেন। তসিলদারগণ বলেন ভাই আমরা চাইলে বৈধকে অবৈধ করতে পারি। আবার অবৈধ কে বৈধ করতে পারি। আমি টাকা দিতে অপারগতা জানাই কয়েক দিন পর হঠাৎ ২২ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাসরিন চৌধুরী সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ঘনফুট বালির মধ্যে ৬০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করেন।
ইজারাদার মনাই মিয়া বলেন, আমি ইজারাদার স্ব স্ব দখলদেহী অনুযায়ী তপশীল বর্নিত বালু মহাল ভোগ দখলে আছি এবং নিজ নিজ বালু মহালের বালু উত্তোলন করিয়া সুবিধাজনক স্থানে স্তূপীকৃত রাখিয়া বিক্রয় করি। আমার বৈধভাবে উত্তোলনকরা বালি অবৈধভাবে জব্দ করা হয়েছে। জব্দের পরের দিন দুলর্ভপুর মহাল হইতে পালপুর মহালদারগণ সবাই মিলিত হয়ে প্রথমে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাসরিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করি। উনি জানালেন তসিলদারের সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আবদুল হকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, মৌলভীবাজার উনার সাথে যোগাযোগ করি। স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন সদরের উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে আমি পাঠিয়ে ছিলাম। তারপর বলেন উপজেলা নির্বাচনের পরপর ঐ বালি বিক্রি ব্যবস্থা করে দেব। পরবর্তীতে ঐ মহালের ইজারাদার আমার সাথে যোগাযোগ করবেন আর কেউ আসা লাগবেনা।
তিনি বলেন, পরবর্তীর্তে সময় নিতে নিতে হঠাৎ তরিগরি করে ১০ জুন একটি নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। একদিনের ব্যবধান রেখে ১২ জুন সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ঘনফুট বালি নিলাম দিয়া দেন। যার কারণে আমি এবং আমরা হতভাগ বৈধ ইজারাদারগণ অনেক অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হই। আমার আশ পাশের বাসুদেবশ্রী নতুন ব্রীজ অনুরুপ ভাবে আরো অনেক স্থানে বালি বিক্রি করতেছেন তাদের বালি নিলাম হয় নাই যাহা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। মনাই মিয়ার অভিযোগ, অর্থ লোভী তসিলদারগন এবং কিছু অর্থ লোভী দুনীর্তিবাজ কর্মচারী কার্মকর্তাগনের আপনার মাধ্যমে বিভাগীয় তদন্ত করে শাস্তির আহ্বান করছি। মৌলভীবাজার সদর কামালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তসিলদার আওতাদুর রহমান, জামাল মিয়া, আলী হোসেন যুবরাজ মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকসহ এই বিষয়ে জড়িত।
এবিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হক বলেন, বিবাদীরা আদালতে মামলা করেছে। বৈধ বালু কিভাবে অবৈধ নিলাম হবে। ওরা ত নিলামে অংশগ্রহন করে। কারো বৈধ বালু অবৈধ নিলাম হয়নি। বৈধ বালু অবৈধ ভাবে নিলামের কোন সুযোগ নেই।