হাওরাঞ্চলে এখনো পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৪, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে এবং শুক্রবার (২১ জুন) দিনে পানি কমে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তা সত্ত্বেও দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। নতুন করে কোনো ভাঙন দেখা না দিলেও পুরোনো ভাঙনের অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।
কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
বন্যায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার মানুষ। জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৫০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
বন্যাকবলিত এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। গবাদিপশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন। জেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ জনপদের সড়ক তলিয়ে গেছে। আঞ্চলিক মহাসড়কের অনেক স্থানে পানি উঠেছে। বন্যার পানির তোড়ে ডুবে পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, মনু নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীটি মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদী কমলগঞ্জ রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।