কমতে শুরু করেছে মৌলভীবাজারের নদ নদীর পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতী হয়ে বিপৎসীমার ওপরে থাকা মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতী হয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, আজ বিকাল ৩ টার মনু নদীর রেলওয়ে ব্রীজ এর পানি বিপদসীমার ২৭০ সে.মি, নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চাঁদনীঘাট ব্রীজে মনুর পানি বিপদসীমার ২৯ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ এর পানি বিপদসীমার ২৭৯ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর ব্রিজে পানি বিপদসীমার ১৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে জুড়ী উপজেলার জুড়ী নদীর ভবানীপুর ব্রিজে পানি বিপদসীমার ২০৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাত উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়েছে। একইসাথে ধলাই নদীর তিনটি পুরোনো ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। গ্রামীন রাস্তা ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দী প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ শত ৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫১৩টি পরিবার। তাদের দেয়া হচ্ছে শুকনো খাবার, চাল, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। গঠন করা হয়েছে ৭০টি মেডিকেল টিম। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার নিয়ে বন্যার্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেছেন, মৌলভীবাজারে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কম হয়েছে। এছাড়া উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীর ঝুকিপূর্ন স্পটগুলোতে বালু ভর্তি বস্তা ও মাটি দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত রাখার কাজ চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রয়েছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষের সাহায্যে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাদের বাড়ীতে বেশি পানি এমন প্রায় ১৫ শত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। শুকনো খাবার ও চাল দেয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরন করা হচ্ছে।