কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৪, ৪:০৩ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
হাপরের বাতাসে কয়লার আগুনে পুড়ছে লোহা। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। জ্বলন্ত আগুনের তাপে কপাল থেকে অনবরত পড়ছে ঘাম। তবুও থেমে নেই দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কাজ। কাজ বেশি থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে চলে কামারশালায় হাতুড়ি পেটানোর কাজ।
সরেজমিনে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারশালায়। কেননা, পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামার শিল্পীদের।
মাংস কাটা, পশু জবাই করা ও চামড়া ছড়ানোর পুরোনো সরঞ্জামাদির শান দেওয়া, নতুন লোহা পুড়িয়ে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কর্মযজ্ঞ চলছে দ্রুত গতিতে।
উপজেলার সকল কামার শালা এখন মাংস কাটার সরঞ্জামাদি তৈরির টুং টাং শব্দে মুখরিত। এসব সরঞ্জামাদি কিনতেও ক্রেতারা ভিড় করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার রবিরবাজারে দেখা গেছে, লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো। কামার শিল্পীরা, ছুরি, বঁটি, চাকু ও চাপাতি তৈরিতে কাজ করছেন।
উপজেলার রবিরবাজারের নূর মিয়া কর্মকার বলেন, এখন কয়লা ও লোহা শান দেওয়ার পাথরসহ সব কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচামালের দাম বাড়লেও তৈরি পণ্য সেই অনুপাতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। সারা বছর কাজের ব্যস্ততা কম ছিল। এখন কোরবানির এ সময়টায় অনেক কাজ হাতে এসেছে।
আজমত আলী নামের এক ব্যবসায়ী জানান, অনেক বছর থেকে এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। আগের চেয়ে সব কিছুর দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, এখন বাজারে একটি বড় দা (বটি) ওজন ও আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাপাতি প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোরা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।