লাঠিটিলার অসুস্থ হাতিকে খুঁজে পাচ্ছে না বন বিভাগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২৪, ১:৩২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা দলছুট বন্য হাতিকে তিনদিন ধরে তল্লাশি চালিয়েও খুঁজে পাচ্ছে না বন বিভাগ। হাতাটির চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে পশুচিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদকে পাঠিয়েছে বন্য প্রাণী বিভাগ।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর পর্যন্ত অসুস্থ হাতির কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। তবে খুজ চালাচ্ছেন বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসায় ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আসা হয়েছে। দলের সদস্যরা সোমবার থেকে বনে গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। চিকিৎসার জন্য আগে হাতিটিকে ধরতে হবে। তবে হাতিটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটির সন্ধানে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন ও বনাঞ্চলে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। হাতিটিকে ধরতে চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করা হতে পারে। হাতাটির খুজ পেতে স্থানীয় মানুষসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বন বিভাগ ও গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, ক্রান্তীয় চিরসবুজ এ বনে চারটি বন্য হাতি দলবেধে বিচরণ করত। এর মধ্যে একটি হাতি বেশ কিছু দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাতিটি দলছুট হয়ে একা ঘুরে বেড়ায়। মাঝেমধ্যে আশপাশের লোকালয়ে চলে যায়। তবে মানুষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনি। খবর পেয়ে স্থানীয় বন বিভাগ ও মৌলভীবাজারের বন্য প্রাণী বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা গতকাল রোববার বনের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হাতিটির অবস্থান জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে ফিরে বন্য প্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসায় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়।
বন বিভাগের জুড়ীর রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, বনের কাছাকাছি পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকায় গত শুক্রবারও হাতিটিকে দেখা গেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। এসময় এটিকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। এর শরীরে ক্ষতও দেখা গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া হাতিটির অসুস্থতার কারণ জানা যাবে না।