ভোটের আড়াই বছর পর মৌলভীবাজারের আদালতে গিয়ে ১০৩ ভোটে জিতলেন পরাজিত প্রার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৪, ৫:১২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে অভিনব কায়দায় ভোটকারচুপির প্রমাণ পেয়েছে আদালত। এতে আদালত ভোট পুনগননা করে পরাজিত প্রার্থী সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে ১০৩ ভোটের ব্যবধানে ভোটী জয়ী ঘোষনা করা হয়।
আদলত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫নং ওয়ার্ডে প্রতিব্দব্ধিতা করেন টিউবওয়েল প্রতীকে সৈয়দ মোজাহিদ আলী ও ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান। কিন্তু ভোগননার পূর্বে প্রজাইডিং অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তারা অভিনব কায়দায় ফলাফল ঘোষনা করে কেন্দ্র থেকে চলে যান। এতে ৯৮ ভোটের ব্যবধানে সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে পরাজিত দেখানো হয়। এরপর সৈয়দ মুজাহিদ আলী মৌলভীবাজার নির্বাচনী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মুমিনুল হক দীর্ঘ বিচারকার্য সম্পাদন করে ব্যালটের ঘানি ব্যাগ তলব করা হয় এবং প্রকাশ্যে আইনজীবিদের উপস্তিতিতে আদালতে ভোটপুনরায় গননা করা হয়। এতে দেখা যায় টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পরেছে ৬৮০টি ও ফুটবল প্রতীক ভোট পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট। এই গননায় কেউ কোন আপত্তি না করায় আদলত টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলীকে বিজয়ী ঘোষনা করেন। গত ৩০এপ্রিল মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হকের আদলতে এই রায় প্রদান করা হয়।
আদালত আরো ঘোষনা করেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান বেআইনিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এঘটনায় জড়িত প্রিজাইডিং অফিসার খালিশপুর মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. ইলয়াছ আলী, রিটানিং কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আইনজীবি জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমার বাদী আদালতের মাধ্যমে ভোট পুনরায় গননা করে সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। বিবাদী বেআইনিভাবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভিনব এই ভোট কারচুপির বিষয়টি উদঘাটন হয়েছে।