রাজনগর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান খানের ইশতেহার ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মে ২০২৪, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের রাজনগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান খান। নিজের ইশতেহারে নির্বাচিত হলে উপজেলাবাসীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অঙ্গীকার করেন তিনি। এসময় তিনি গত ৫ বছরে উপজেলার মানুষের জন্য কি কি করেছেন তাও তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন।
তার নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে- উপজেলার সকল কাঁচা রাস্তা ইটসলিং করে কাদামুক্ত করণ, রাজনগর-বালাগঞ্জ উপজেলার মানুষের যোগাযোগ সহজ করতে কুশিয়ারা নদীতে ফেরি চলাচল শুরু করা, বিভিন্ন বাজার ও সড়কে স্ট্রিট লাইট ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, উপজেলা যুবপ্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন, প্রতিটি ইউনিয়নে ক্রীড়া ক্লাব ও শেখ রাসেল মিনি গ্যালারি স্থাপন, মিনি স্টেডিয়াম নির্মান, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের পর্যায়ক্রমে শতভাগ সরকারি ভাতার আওতায় আনা, পর্যায়ক্রমে চা শ্রমিকদের সরকারী ভাতার আওতায় আনা, তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বরাদ্দকৃত বিদ্যুতের মেঘাওয়াট বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিসেবা বিস্তৃত করা, বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে সোলার প্লান্ট স্থাপন করা, ফ্রি ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলা, উপজেলার সকল বাজারে বর্জ্য খালাস কেন্দ্র স্থাপন, অনাবাদি জমি কৃষির আওতায় আনা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. শাহজাহান খান বলেন, এবার আমাদের সুযোগ এসেছে অবহেলতি-বঞ্চিত রাজনগরকে এগিয়ে নেয়ার। আমাদের সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করে সেই সুযোগের এক ধাপ সামনে আছি আমরা। এবার রাজনগরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্মার্ট উপজেলা বিনির্মানের অংশিদার হতে হবে। আর এই লক্ষ্যে উপজেলাবাসী আমাকে আবারো কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদ ফয়ছল আহমদ, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান দিগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল আহমদ, কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।