কমলগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর গ্রামে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির উঠনে বসে অনশন করছেন প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করেন ওই প্রেমিকা। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে দিবেন মেয়েটাকে আস্বস্ত করলেন অনশন ত্যাগ করে দুপুর ১টার দিকে ট্রেন যোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি গ্রামের বাড়িতে চলে যায় প্রেমিকা।
স্থানীয় ও ইউপি সদস্যের দেওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রেম হয় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মাইশা বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা (ছদ্মনাম) মাইশা ও কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর গ্রামের এলখাছ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বলের সাথে। মাইশার সাথে উজ্জল ফোনে কথা বন্ধ করে দিলে সে উজ্জলের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। তার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটে উজ্জলের সাথে দেখা করে আসে মাইশা। তখন সিলেটে প্রেমিক উজ্জলের সাথে বাক বিতন্ডে জড়ালে স্থানীয়রা সেখান থেকে প্রেমিকা মাইশা চলে যেতে বলা হয়। সেখান থেকে প্রেমিকা মাইশা চলে আসে উজ্জলের গ্রামের বাড়িতে।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা (ছদ্মনাম) মাইশা জানান,‘গত রমজান মাসে ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রেমিক উজ্জ্বলের পরিচয় হয়। প্রায় ১ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শাহজালাল মাজার ও কোরআন শরীফ ছোঁয়ে একে উপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন সে অস্বীকার করছে বিয়ে করবে না। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে প্রেমিক উজ্জলের বাড়িতে এসে অনশন করছি। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন ওই নারী।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার ও ইউপি সদস্য আদর মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুনেছি উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা কতদূর পর্যন্ত গিয়েছে আমাদের জানানেই। গতকাল থেকে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে উজ্জলের বাড়িতে অবস্থান করে। আমরা মেয়ের পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করেছি। দুপুর ১টার সময় পরিবারে সাথে আলাপ করে মেয়েকে ট্রেনে করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তারা আরও জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) ইউনিয়ন পরিষদের মেয়ের অভিবাবকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসবেন বলেছেন। তাদের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মেয়ে তার উচিত বিচার পাবে।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবোরের লোকজন আগামী রবিবার আসলে পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।’