দল মত নির্বিশেষে সর্বমহলে জিল্লুর রহমানে আস্থা
মৌলভীবাজার-৩ আসনে ভোট দিতে অধীর আগ্ৰহে ভোটাররা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।মৌলভীবাজার-৩ আসনে ভোট দিতে ভোট দিতে অধীর আগ্ৰহে ভোটাররা অপেক্ষা করছেন। এখন শুধু ক্ষণ গননার অপেক্ষা। এই আসনে দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে আস্থা ভাজন হয়ে উঠেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন জনতার নেতা। জিল্লুর রহমানের মনোনয়ন পাওয়ার পর পরই মৌলভীবাজারে আনন্দের জোয়ার বয়। দল মত নির্বিশেষে এখন সব শ্রেণী পেশার মানুষ তার পক্ষে কাজ করছেন।
পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা মৌলভীবাজার-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে যিনি মন জয় করেছে আপামর জনসাধারণের। তিনি স্বপ্ন দেখেন, মানুষকেও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এমন সব উন্নয়ন কাজের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছেন, যা আগে কেউ বলেনি। এযেন অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্যারেশমেটিক নেতা । প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় চমক সৃষ্টি করেছেন তিনি। সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী ও সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুর রহমানের পরিবার সমর্থন জানাচ্ছেন জিল্লুর রহমানকে। বিরুদ্ধে দলের নেতারাও গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে কাজ করছেন তার জন্য। এখন তিনি হয়ে উঠেছেন মৌলভীবাজারের সর্বমহলের সর্বজনের প্রিয় প্রার্থী।
এবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার পরই মনস্থির করেন যে, মৌলভীবাজার-৩ আসনের মানুষের আকাঙ্খার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করবেন। তাই কোমর বেঁধে নেমেছেন মাঠে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও রাজনগর উপজেলার ২০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজের টিম পাঠিয়ে মানুষের কথা শুনেছেন জিল্লুর রহমান। তৈরী করেছেন উন্নয়ন পরিকল্পনা। এখন যে ইউনিয়ন ওয়ার্ডেই যান তিনি নির্বাচনী সভা শুরু করেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এ যেন চাওয়ার আগেই পাওয়া। মানুষের দাবির আগেই তিনি বলে দেন কোন ওয়ার্ডে কি কি প্রয়োজন। এমন প্রতিশ্রুতিতে আশান্বিত হয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে মৌলভীবাজার-৩ আসনে। সর্বস্থরের মানুষ দল মত নির্বিশেষে এখন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের জন্য কাজ করছেন।
গত ৪ জানুয়ারি বিকেলে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা চত্বরে জনসভায় তিনি তার নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন পরিকল্পনা গুলো প্রকাশ করেন। এ সময় জিল্লুর রহমানের উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি শুনে তাকে হাত তুলে স্বাগত জানান জনসভায় অংশ নেওয়া হাজার হাজার জনতা। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে জিল্লুর রহমান এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনী আসনের ৯৮ শতাংশ এলাকায় তিনি গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও জনসভা করেছেন। দীর্ঘ দিন পর একজন পরিচ্ছন্ন মানুষকে প্রার্থী দেখে আনন্দে জোয়ার বইছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও।
প্রয়াত মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর পরিবারের মধ্যে স্ত্রী সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীন, মেয়ে যুবলীগ নেত্রী সৈয়দা সানজিদা শারমিন, ভাই, সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সৈয়দ লিয়াকত আলীসহ সমর্থক ও কর্মীরা একযুগে কাজ করছেন জিল্লুর রহমানের জন্য। একই সাথে মাঠে প্রচারণা চালিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের পরিবারও। তার পরিবারের মধ্যে ভাই মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, ভাতিজা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৌদ আল সুফিয়ান সাগরসহ অনেকে। বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমেদের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন আজিজুর রহমান। কিন্ত এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ার আজিজুর রহমানের পরিবার নৌকার প্রার্থীকেও সমর্থন জানাচ্ছে।
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন বলেন, আমার স্বামী প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এই আসনের এমপি ছিলেন। কিন্তু উনি উনার দায়িত্ব শেষ হওয়ার আগেই সবাইকে ছেড়েচলে গেছেন না ফেরার দেশে। জিল্লুর রহমানকে মহসিন আলী ছেলের মতো দেখতেন। আমরা চাই আমাদের কৃতি সন্তান জিল্লুর রহমান এমপি হয়ে মহসিন আলীর অসম্পূর্ণ সকল কাজ সম্পন্ন করাক। তাই এখন প্রয়োজন আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জিল্লুর রহমানকে সংসদে পাঠানো।
মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। আমরা চাই মৌলভীবাজারের উন্নয়ন হোক। তাই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সুসংগঠিত করে তাদেরও উন্নয়নের অংশীজন করতে চাই। নৌকার জয় এখন নিশ্চিত।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার বলেন, আমাদের নেত্রী বুঝে শুনে যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এর বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান একজন তরুণ, তিনি চাইলে সকল অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবেন। তাই আমি মৌলভীবাজার ও রাজনগরবাসীর কাছে আহ্বান জানাই তাকে যেন আমরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব বলেন, আমাদের এই আসন জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনীত করেছেন তার জন্যই কাজ করবো। কখনো নৌকার বিরুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ নেই। ৭ তারিখ বিপুল ভোটে নেত্রীকে আমরা এই আসন উপহার দিব।
ইতিমধ্যে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলভীবাজার ও রাজনগরের আন্ত:মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরন, মৌলভীবাজার শহর বাইপাস ও নতুন মনু সেতু, কাউয়াদিঘি হাওরের উন্নয়ন, মনু নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসকল প্রতিশ্রুতি পেয়ে খুশি ভোটাররাও।
ভোটার ফারুক মিয়া বলেন, আমি বিশ্বাস করি জিল্লুর রহমান উন্নয়ন করতে পারবেন। উনার বক্তব্য আমার খুব ভাল লাগে। উনি কাউকে কটাক্ষ করেন না। বরং সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলেন। তাই আমি উনাকে সমর্থন জানাই। দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখন জিল্লুর রহমানের সাথে।
মৌলভীবাজার- ৩ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার-রাজনগরবাসীর স্বপ্ন পুরণে আমি কাজ করতে চাই। আমাদের একটা টিম গত তিনমাস মৌলভীবাজার ও রাজনগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে খোঁজ নিয়েছে কার কি লাগবে। আমরা সেইভাবেই উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি। মৌলভীবাজার-৩ আসনকে দেশের অন্যতম স্মার্ট এড়িয়া হিসেবে গড়তে চাই।
তিনি বলেন, আমি একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সেই লক্ষ্যেই কাজ করবো। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি কোন দলমত দেখবো না। আমার একটা অফিস থাকবে সেখানে সবশ্রেণীর মানুষ নির্দিধায় যেতে পারবে। আর মানুষ যেটা চাইবে তাদের চাওয়াকে মূল্যায়ন করে আমি সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীতে কাজ করব।