প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের প্রশংসায় সিলেটের কাস্টম ও ভ্যাট কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:০৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কাস্টম এক্সারসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট বিভাগের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই মৌলভীবাজারের মানুষ ও মাটির প্রতি। যে মাটি সাইফুর রহমানের মতো একজন ব্যক্তি সৃষ্টি করেছিলেন। যিনি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টেডেন্ট হয়ে বুঝতে পেরেছিলেন এ জাতিকে উন্নত করতে হলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহের কোনো বিকল্প নেই। সে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহের জন্য তিনি ভ্যাট ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। এ ভ্যাট ব্যবস্থা ৯১ সালে চালু করতে গিয়ে তিনি নিজ দল, বিরোধী দল, ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে সবার চরম প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আমি তখন চিটাগংয়ে কর্মরত ছিলাম। আমরা তখন ঢিল-পাটকেলের মুখোমুখি হয়েছি। অপমানের মুখোমুখি হয়েছি। প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছি ব্যবসায়ীদের কাছে। কিন্তু তৎকালীন অর্থমন্ত্রী, সরকারের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এডামেন্ট ছিলেন যে, এদেশকে এগিয়ে নিতে গেলে এর কোনো বিকল্প নাই। ফলে এটা আজ বাস্তাবায়িত।’
‘আমার ভ্যাট আমি দিব, কেনার সময় চালান নিব’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আবগারি ও ভ্যাট বিভাগ মৌলভীবাজারের আয়োজনে গতকাল দুপুরে স্থানীয় রেস্ট ইন চাইনিজ রেস্তরাঁয় মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ভ্যাট কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কারও কোনো অথরিটি নাই কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে ন্যূনতম কোনো দুর্ব্যবহার করার। তুমি থেকে তুই বলারও অথরিটি নাই আমাদের। আমার কোনো সহকর্মী যদি কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে একদম মিনিমাম কোনো দুর্ব্যবহার করে থাকেন এবং এর পক্ষে ন্যূনতম প্রমাণ থাকে গোপনে হলেও আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের যদি মনের কষ্ট দূর করতে না পারি, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিতে না পারি-তাহলে আমি এ ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যাক আউট করবো। কেননা, ব্যবসায়ীর টাকায় আমার বেতন হয়। ব্যবসায়ীর টাকায় আমার গাড়ির তেল হয়। সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিনিমাম কোনো দুর্ব্যবহার করার প্রশ্নই উঠে না। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান থাকলো আমাদের কোনো সহকর্মীর কথায় যদি আপনারা অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন আমাকে কাইন্ডলি জানার সুযোগটা দেবেন। আমি চেষ্টা করবো মনোকষ্ট দূর করার।’