মৌলভীবাজারে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাওয়া পাল্টা দাওয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:২০ অপরাহ্ণ
ষ্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এঘটনায় শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মংক সৃষ্টি হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় মৌলভীবাজার পৌর শহরের চৌমুহনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি’র ৪ নেতাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন (১) সাইফুল ইসলাম (২) মামুন আহমদ (৩) হাবিবুর রহমান ও (৪) ইব্রাহীম আহমদ। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই বাদল কুমার বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪জন সহ মোট ১৫জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনী থেকে মিছিল শুরু করতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের চঁত্রভঙ্গ করে। এঘটনায় শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মংক সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মামলায় আসামীরা হলেন, (১) সাইফুল ইসলাম (২) মামুন আহমদ (৩) হাবিবুর রহমান (৪) ইব্রাহীম আহমদ (৫) সৈয়দ মুহিবুর আলী (৬) মোঃ জাকির হোসেন (৭) পারভেজ আহমদ (৮) মোস্তাক আহমদ (৯) রাহী আহমদ (১০) এনাম মিয়া (১১) আব্দুল কাদের (১২) তারেক আহমদ (১৩) রাজন আহমদ (১৪) রাহাত আহমদ ও (১৫) দারা মিয়া প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ নং আসামী সৈয়দ মুহিবুর আলী ও তারেক আহমদ প্রবাসে থাকার পরেও তাদের আসামী করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই মামলার বাদী বাদল কুমার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা অন্যায়ভাবে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল দিচ্ছিলেন। পুলিশের কিছু অতি উৎসাহি সদস্য অতর্কিত ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে আহত করেন এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে ১৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রবাসীদেরকেও আসামী করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।